Haimanti Ganguly : অর্পিতার পর হৈমন্তী, নিয়োগ দুর্নীতির কেন্দ্রে দুই নারী , দুজনের কী মিল ! দেখুন
Recruitment Scam : অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের পর হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্য়ায়। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় নাম জড়াল দ্বিতীয় নারীর! বেশ কিছু ক্ষেত্রে এই দুজনের মধ্য়ে মিলও লক্ষ্য় করা গেছে।
সঞ্চয়ন মিত্র, সমীরণ পাল, কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতির মামলাতে এখন ফোকাসে দুই নারী। অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের ( Arpita Mukherjee ) পর হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্য়ায় ( Haimanti Mukherjee ) ! বৃহস্পতিবার অবধি হৈমন্তী ছিলেন রহস্য়ে মোড়া! শুক্রবারই প্রথম সামনে এসেছে তাঁর একাধিক ছবি!
আর এই ঘটনাই মনে করিয়ে দিয়েছে সাত মাসের আগের কথা। তখনও পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের ( Partha Chatterjee ) ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের ( Arpita Mukherjee ) গ্রেফতারির পর ঠিক এরকমই আলোড়ন পড়ে গেছিল! অর্পিতা এখন জেলে বন্দি! আর এখন চর্চার কেন্দ্রবিন্দু দ্বিতীয় নারী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্য়ায়! অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের দুটি ফ্ল্য়াটে ইডির অভিযানে নগদ প্রায় ৫০ কোটির পাহাড় এবং কোটি টাকার গয়না উদ্ধার হয়েছিল।
যা চাকরি বিক্রির টাকা বলেই চার্জশিটে দাবি করেছে ইডি। হৈমন্তীর কাছেও নিয়োগ দুর্নীতির টাকা রয়েছে বলে দাবি করেছেন এই মামলায় ধৃত যুব তৃণমূলের সম্পাদক কুন্তল ঘোষ। বেলঘরিয়ার অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায় ২০০৬-এ মডেলিংয়ের মাধ্যমে বিনোদন জগতে পা রেখেছিলেন! হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্য়ায়ও মডেলিং এবং অভিনয়, দুটোই করেছেন! ‘মামা ভাগ্নে’, ‘পার্টনার’, ‘আমার আর্তনাদ’-এর মতো বাংলা ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অর্পিতা। হৈমন্তীকে দেখা গেছিল অচেনা উত্তম ছবির একটি পার্শ্বচরিত্রে।
নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় নাম জড়ানো দুই নারীর মধ্য়ে আরও একটি চমকপ্রদ মিল রয়েছে! দুজনেরই পার্লার খুলেছিলেন! অর্পিতার গ্রেফতারির পর জানা যায়, ২০২০ সালে, টবিন রোডে, তিনি একটি নেল পার্লার খোলেন। পরবর্তীতে, দক্ষিণ কলকাতায় খোলেন আরও দুটো ব্রাঞ্চ। এবার হৈমন্তীর নাম সামনে আসার পর তাঁরও একটি পার্লারের হদিশ মিলেছে! লেকটাউন মোড়ে এই হল লেক ট্রপিকানা নামে সেই ফ্য়ামিলি সেলুন অ্যান্ড স্পা! স্থানীয়দের দাবি, আজ দুপুরেও এই দোকান খোলা ছিল! তারপরই হঠাৎ করে শাটার নামিয়ে কর্মচারীরা বেরিয়ে যান! তবে হৈমন্তীর ছবি দেখে চিনতে পেরেছেন স্থানীয় একটি ফ্ল্য়াটের নিরাপত্তারক্ষী।
শুক্রবার হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্য়ায়ের মায়ের কথায় যথেষ্ট অসঙ্গতি ধরা পড়েছে! তিনি বলেন, মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। দিন ১০ আগে মেয়ে এসেছিলেন। অর্পিতার গ্রেফতারির পরও তাঁর বেলঘরিয়ার বাড়িতে বৃদ্ধা মায়ের হদিশ মিলেছিল। তিনি মেয়ের বিলাসবহুল জীবনের বিষয়ে বেশি কিছু জানতেন না বলেই জানিয়েছিলেন। এখন দ্বিতীয় নারী হৈমন্তীকে ঘিরে তোলপাড়ের মধ্য়ে মেয়েকে নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।
দেখার বিষয় হল, এবার কি পদক্ষেপ করবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা?