Cyber Crime: প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোডের ছক, সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা খোয়ালেন শিক্ষক
Cyber Fraud: প্রায় সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা খোয়া যাওয়ায় মারাত্মক সমস্যায় পড়েছে পরিবার।
![Cyber Crime: প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোডের ছক, সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা খোয়ালেন শিক্ষক Haldia News KYC Update from Play store app download Teacher looses 6.5 lakh Cyber Crime: প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোডের ছক, সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা খোয়ালেন শিক্ষক](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/01/21/0a33c5c928dc49a9f57b6f4a85ee4c79_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
বিটন চক্রবর্তী, হলদিয়া: সাইবার প্রতারকদের নতুন অস্ত্র এখন KYC আপডেট। এই অজুহাতেই অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত তথ্য জেনে, টাকা লোপাট করে দিচ্ছে প্রতারকরা। সম্প্রতি এই ফাঁদে পা দিয়ে, প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা হারিয়েছেন হলদিয়ার এক স্কুলশিক্ষক। করোনা-আবহে মানুষ বিপদে। আর্থিক সঙ্কটে, সঞ্চয়ে টান পড়েছে অনেকের। তার মধ্যে ভয় বাড়াচ্ছে আর্থিক প্রতারণার বাড়বাড়ন্ত। নিত্যনতুন ফিকির বার করে সাধারণ মানুষের অ্যাকাউন্টে সিঁধ কাটছে প্রতারকরা। এখন তাদের নতুন অস্ত্র অনেকের কাছেই এরকম ফোন আসছে, KYC’র কথা বলে।
এই ফাঁদে পা দিয়েই প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা হারিয়েছেন হলদিয়ার বাসিন্দা, স্কুল শিক্ষক সায়নদীপ মাইতি। তাঁর দাবি, বাবার হার্টের অসুখের চিকিৎসার জন্য যখন তখন টাকার দরকার পড়ে। তাই সেভিংস অ্যাকাউন্টে টাকা রেখে দিয়েছিলেন। গত রবিবার BSNL-এর কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভ পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি তাঁকে ফোন করেন। বলেন, তখনই একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে, নাহলে আউটগোয়িং পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে। অ্যাপ নামানোর পর তাঁকে বলা হয় ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে ১০ টাকা রিচার্জ করতে।
এরপরই সায়নদীপের মোবাইল ফোনে, টাকা কাটার, একের পর এক SMS ঢুকতে শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে ফোন কেটে ATM-এ যান সায়নদীপ। অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স দেখে মাথায় বাজ পড়ে তাঁর। ততক্ষণে অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা লোপাট হয়ে গেছে। হলদিয়ার দুর্গাচক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সায়নদীপ। তমলুকে সাইবার ক্রাইম বিভাগেও অভিযোগ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও সব টাকা! এবার প্রতারণার শিকার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ অধ্যাপিকা
কিন্তু, কষ্ট করে জমানো এতগুলো টাকা কি আর ফেরত পাওয়া যাবে? সেই দুশ্চিন্তা গ্রাস করেছে গোটা পরিবারকে। সাইবার বিশেষজ্ঞ বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, "তছরুপ হয়ে যাওয়া অর্থ ফেরতের সম্ভাবনা প্রায় নেই। যদি না দ্রুত পুলিশের দ্বারস্থ হন। কারণ টাকা অন্য কিছু অ্যাকাউন্ট হয়ে সাইফন হয়ে যায়। দ্রুত পদক্ষেপ নিলে রিকভারি সম্ভব... RBI গাইডলাইন অনুযায়ী, ব্যাঙ্ক তখনই টাকা ফেরত দেবে, যতক্ষণ না ভিকটিম পার্সোনাল ইনফরমেশন কাউকে দিচ্ছেন।"
সম্প্রতি এধরনেরই এক প্রতারকের ফোন এসেছিল এথিক্যাল হ্যাকার সন্দীপ সেনগুপ্তর কাছে। যদিও, তিনি বিষয়টি ধরে ফেলেন। কিন্তু, প্রতারণার প্যাঁচ পয়জার সম্পর্কে সাধারণ কারোর পক্ষে তো এতটা স্পষ্ট ধারণা থাকা সম্ভব নয়। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই এখন অল্পবয়সী থেকে বয়স্ক--- সকলকে সর্বস্বান্ত করছে প্রতারকরা।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)