Konnagar News: ধারবাকিতে কারবার করতে গিয়ে বিপাকে কোন্নগরের দম্পতি, খোয়া গেল ৮৭ লক্ষ টাকা
Hooghly News: হুগলি জেলার কোন্নগরেই এমন ঘটনা ঘটে গিয়েছে। বিশ্বাস করে ধারে জিনিস দিয়ে ঠকে গিয়েছেন এক দম্পতি।
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, কোন্নগর: ব্যবসার সুবাদেই দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক। ধারবাকিতেও কারবার চলত পরস্পরের সঙ্গে। কিন্তু তাতেই ঠকে গেলেন কোন্নগরের এক ব্যবসায়ী দম্পতি। কয়েক হাজার বা এক-দু'লক্ষ নয়, ৮৭ লক্ষ টাকা খোয়া গেল তাঁদের। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধেও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা গেলেও, টাকা ফিরে পাওয়ার আশা দেখছেন না ওই ব্য়বসায়ী দম্পতি।
হুগলি (Hooghly News) জেলার কোন্নগরেই (Konnagar News) এমন ঘটনা ঘটে গিয়েছে। বিশ্বাস করে ধারে জিনিস দিয়ে ঠকে গিয়েছেন এক দম্পতি। কোন্নগরের ক্রাইপার রোড সংলগ্ন একটি বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের দোকান রয়েছে তাঁদের। সেখান থেকে ধারে প্রায় ৮৭ লক্ষ টাকার সামগ্রী কিনে ওই দম্পতিকে ঠকানোর অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত যুবককে সাগ্নিক ঘোষ বলে শনাক্ত করা গিয়েছে। কোন্নগরেরই বাসিন্দা তিনি। জানা গিয়েছে, দোকানের মালিক শ্রাবণী ঘোষ এবং তাঁর স্বামীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল তাঁর। সেই সুবাদে প্রায়শই ধারবাকিতে জিনিস নিতেন সাগ্নিক। সেখান থেকে কেনা সামগ্রি ভাঙড়ে কোনো এক ব্যবসায়ীকে বিক্রি করেন বলে ব্যবসায়ী দম্পতিকে জানিয়েছিলেন তিনি। তাতে সব মিলিয়ে ৮৭ লক্ষ টাকার সামগ্রী ধারে কেনেন সাগ্নিক। কিন্তু সেই টাকা তিনি মেটাননি বলে অভিযোগ।
প্রতারণার শিকার ব্যবসায়ী দম্পতি জানিয়েছেন, আগে থেকেই ২৭ লক্ষ টাকা পাওনা ছিল সাগ্নিকের কাছে। সেই টাকা না মিটিয়েই তাঁদের কাছে ২০২২ সালে হাজির হন সাগ্নিক। জানান, বড় অর্ডার হাতে পেয়েছেন। ভাঙড়ে সরবরাহ করতে হবে সামগ্রী। সেই মতো আরও ৬০ লক্ষ টাকার সামগ্রী নিয়ে যান সাগ্নিক। সেই সমস্ত সামগ্রী ভাঙড়ে নিজের দুই শাগরেদের মাধ্য়মে সাগ্নিক বিক্রিও করে দেন বলে অভিযোগ।
কিন্তু অভিযোগ, বার বার চাওয়া সত্ত্বেও ব্যবসায়ী দম্পতিকে টাকা ফেরত দেননি সাগ্নিক। বাধ্য হয়ে ২০২২ সালের জুলাই মাসেই পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই দম্পতি। কিন্তু উত্তরপাড়া থানার পুলিশের ভূমিকা নিষ্ক্রিয় ছিল বলে দাবি প্রতারিত দম্পতির। পুলিশ অসহযোগিতা করে বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা। সঠিক সময়ে পুলিশ সক্রিয় হলে আজ তাঁদের সর্বস্বান্ত হতে হতো না বলে দাবি ওই দম্পতির।
চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাবালগি সম্প্রতি বিষয়টি জানতে পারেন। তাঁর নির্দেশেই উত্তরপাড়া থানার পুলিশ এই ঘটনায় সক্রিয় হয়ে ওঠে। পুলিশ কমিশনার জানান, ইতিমধ্যেই সাগ্নিক ঘোষকে গ্রেফতার করে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁর দুই শাগরেদেরও খোঁজ চলছে। সাগ্নিক দীর্ঘ দিন ধরে বেনারস এবং ভোপালে গা ঢাকা দিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি এলাকায় ফেরার পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ।