Hooghly News: মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে নাজেহাল কৃষকরা, তদন্তে প্রশাসন
Hooghly News Update: দিল্লি রোড সংলগ্ন হুগলির বৈদ্যবাটি চক এলাকায় চাষের জমি থেকে কেটে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে মাটি। স্থানীয় মাটি মাফিয়াদের এই কাজ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই উঠেছে অভিযোগ।
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: হাইকোর্টের নির্দেশ ও ভূমি রাজস্ব দফতরকে (Land Revenue Department) বুড়ো আঙুল। দিল্লি রোড সংলগ্ন হুগলির (hooghly) বৈদ্যবাটি চক এলাকায় চাষের জমি থেকে কেটে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে মাটি। স্থানীয় মাটি মাফিয়াদের এই কাজ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই উঠেছে অভিযোগ। অভিযোগ পেয়ে এদিন সেখানে তদন্তে আসেন শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকরা।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে মাটি মাফিয়ারা ( land mafias) এলাকার দরিদ্র চাষিদের টাকার লোভ দেখাচ্ছে। অল্প কিছু টাকা দিয়ে তাঁদের চাষের জমি কিনে নেওয়া হচ্ছে। অনেকেই সেই লোভে সাড়া দিচ্ছেন না, জমি বিক্রি করতে অস্বীকার করছেন। অভিযোগ, সেই চাষিদের পাশের জমির আল ঘেঁষে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। তারফলে জমিতে ধস নামছে, ক্ষতি হচ্ছে জমির। তখন অনেকেই কম দামে জমি দিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন বলে অভিযোগ। রয়েছে আরও অভিযোগ। চাষিরা জানাচ্ছেন, জমি বিক্রি করে দেওয়ার পরেও মালিকের নাম বদল করা হচ্ছে না। ফলে ওই জমিতে যখন মাটি কাটা হচ্ছে, তখন প্রশাসনের তরফে অভিযান হলে চাষিরা হেনস্থা হচ্ছেন।
চক এলাকার এক চাষি বলেন, 'বেশ কয়েক বছর আগে আমার জমির পাশে অবৈধভাবে মাটি কাটা শুরু হয়। তখন আপত্তি জানিয়েছিলাম। কোনও লাভ হয়নি। শেষে মাটি কারবারিদের জমি দিতে বাধ্য হই। সেই জমির দামের সব টাকাও এখনও পাইনি। একাধিকবার বলা হলেও, বকেয়া টাকা দেয়নি, জমি রেজিস্ট্রিও করে নেয়নি।'
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে মাটি কারবারিদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ বৈদ্যবাটি, চক, দীর্ঘাঙ্গী, খুঁড়িগাছি মৌজার কৃষকেরা। প্রশাসনকে জানিয়েও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে কৃষকরা কৃষিজমি বাঁচানোর জন্য, বৈদ্যবাটি চক ও দীর্ঘাঙ্গী মৌজা কৃষি উন্নয়ন সমিতি গঠন করে। ২০০২ সালে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। ফলও পান তাঁরা। আদালতের নির্দেশে মাঝে কয়েক বছর মাটিকাটা বন্ধ থাকলেও আবার সেই কাজ শুরু হয়েছে। এই কয়েক বছরে একাধিকবার প্রশাসনকে জানানো হয়। বহুবার পুলিশ মাটি কাটা রুখেছে,সাময়িক ভাবে বন্ধ থাকলেও বারবার শুরু হচ্ছে কাজ।
বুধবার বৈদ্যবাটি চক মৌজায় নিজে উপস্থিত হন শ্রীরামপুর উত্তরপাড়া ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক অস্মিতা দাশগুপ্ত। জমির দাগ নম্বর মিলিয়ে জমি মালিকদের খোঁজ করেন তিনি। বহু মালিক এসে তাঁদের সমস্যার কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মাটি খুঁড়ে ছাত্রীর মৃতদেহ বের করে পাঠানো হল ময়নাতদন্তের জন্য