Belur Math: নিয়ম শিথিল বেলুড় মঠে, সারদা দেবীর জন্মতিথিতে দর্শনার্থীদের অবাধ প্রবেশ
প্রসঙ্গত, গত দু'বছর বেলুড় মঠের যাবতীয় উৎসবে দর্শক-ভক্তদের প্রবেশাধিকার ছিল না। এবারে করোনা প্রকোপ অপেক্ষাকৃত কম থাকার কারণে ভক্তদের কথা মাথায় রেখে বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ভাস্কর ঘোষ, বেলুড়: করোনাকালে (Covid Situation) দু-বছর বেলুড় মঠে (Belur Math) বিধি-নিষেধ বহাল ছিল। তবে এবারদর্শনার্থীদের জন্য সুখবর। আগামী ২৬ ডিসেম্বর (December) শ্রী শ্রী সারদা মায়ের জন্মতিথি উপলক্ষে খুলে দেওয়া হচ্ছে বেলুড় মঠ (Belur Math)।
প্রসঙ্গত, গত দু'বছর বেলুড় মঠের যাবতীয় উৎসবে দর্শক-ভক্তদের প্রবেশাধিকার ছিল না। এবারে করোনা প্রকোপ অপেক্ষাকৃত কম থাকার কারণে ভক্তদের কথা মাথায় রেখে বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে অন্যান্য বারের মত সারাদিনের জন্য নয়, বর্তমানে বেলুড়মঠ যে নির্দিষ্ট সময় খোলা থাকছে সেই সময়টাতেই শুধুমাত্র প্রবেশাধিকার থাকবে। তবে কোভিড বিধি মেনেই মঠে প্রবেশ করা যাবে।
মঠ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ২৫ ডিসেম্বর, সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১:০০টা এবং বিকাল ৩ টে থেকে ৫ টা অবধি খোলা থাকবে মঠ। কোভিড বিধি পালন করে ভক্ত-দর্শকরা শ্রী শ্রী ঠাকুর রামকৃষ্ণ মন্দির, মায়ের মন্দির, ব্রহ্মানন্দ মন্দির এবং স্বামীজির মন্দির দর্শন করতে পারবেন। একই সঙ্গে সংঘাধ্যক্ষ এবং সহ- সংঘাধ্যক্ষদের প্রণামও করতে পারবেন। জানানো হয়েছে সারিবদ্ধভাবে দর্শন করে হাতে হাতে প্রসাদ নিয়ে তারা মঠ প্রাঙ্গন ত্যাগ করবেন।
উল্লেখ্য, গত জুনে ভক্তদের জন্য খুলে যায় বেলুড়মঠ। সকাল ৮টা থেকে ১১টা ও বিকেল ৪টে থেকে পৌনে ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকছিল মঠের দরজা। করোনা আবহে ভক্তদের প্রবেশে ছিল কড়া নিয়মবিধি। করোনা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের শংসাপত্র অথবা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে RTPCR টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট থাকলে, তবেই মিলবে বেলুড় মঠে ঢোকার অনুমতি। বাধ্যতামূলক সচিত্র পরিচয়পত্রও।
এর আগে গত ২৪ জুলাই গুরুপূর্ণিমায় একদিনের জন্য খুলেছিল বেলুড় মঠ। সেদিন করোনা বিধি মেনে মঠে ঢুকতে পেরেছিলেন দর্শনার্থীরা। বিধির কড়াকড়ির মধ্যে বৈদিক মন্ত্র, স্তোত্র পাঠ থেকে ভজন...খামতি ছিল না কোনও কিছুর। সারদা মা, রামকৃষ্ণ ও বিবেকানন্দের বাণীও পাঠ করা হয়। তবে তা অবশ্য মঠে বসে শুনতে পারেননি ভক্তরা। সবটাই নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রচার করে মঠ কর্তৃপক্ষ। তবে এই পুণ্যতিথিতে মঠে আসার অনুমতি পেয়ে খুশি হয়েছিলেন দর্শনার্থীরা। গুরুপূর্ণিমায় মঠ খুললেও গুরুদর্শন অবশ্য হয়নি। প্রেসিডেন্ট মহারাজ ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মহারাজকে দর্শন করতে পারেননি ভক্তরা। ওই দিন সকাল ও বিকেল মিলিয়ে ৫ ঘণ্টা খোলা ছিল মঠ।