Mamata Attend Iftar Party: আমি যখন দুর্গাপুজো, কালীপুজো করি তখন তো প্রশ্ন করেন না ! ফুরফুরা শরিফ থেকে প্রশ্ন তুললেন মমতা
Mamata Attend Iftar Party At Furfura Sharif: ফুরফুরা শরিফে মমতা, ইফতার পার্টিতে যোগ দিয়ে কী প্রতিক্রিয়া ?

অর্ণব মুখোপাধ্য়ায়, সোমনাথ মিত্র ও জয়ন্ত পাল, কলকাতা: বছর ঘুরলেই ফের আরেকটা বিধানসভা ভোট। তার আগে, আজ ফুরফুরা শরিফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ইফতার পার্টিতে যোগ দিলেন তিনি। কথা বলেন পীরজাদাদের সঙ্গে। সম্প্রতি ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। যদিও এদিন ফুরফরা শরিফ থেকে বিরোধীদের স্পষ্ট জবাব মুখ্যমন্ত্রীর ।
'খারাপ লাগে এটাই, কমেন্ট করেছে, এটা কি ভোটের সমীকরণ ?'
এদিন মমতা বলেন, আপনাদের কাছে এসেছি। আগেও আমি খুব আসতাম। ১৫-১৬ বার এসেছি আমি। কাজেই এটা আমার কাছে নতুন কিছু নয়। খারাপ লাগে এটাই, কমেন্ট করেছে, এটা কি ভোটের সমীকরণ ? 'যখন কাশী-বিশ্বনাথ, পুস্করে যাই তো, তখন তো কেউ প্রশ্ন তোলেন না? যখন দুর্গা-কালীপুজোয় যাই, তখন তো কেউ প্রশ্ন করে না..আজ জেনে রাখুন আমি খ্রীস্টানদের ফেস্টিভ্যালেও যাই।আমি ইদেও যাই। আমি ইফতার নিজে করি। ইফতার- রোজাতেও যাই। '
শুরু হল নতুন রাজনৈতিক তরজা!
হিন্দু-মুসলমান!মন্দির-মসজিদ, জগন্নাথ মন্দির-রামমন্দির, হিজাব-রোজা-ইফতার। রামনবমী-হনুমান জয়ন্তী-সরস্বতী পুজো! বঙ্গ রাজনীতি এখন ধর্ম-সবস্ব!এই আবহেই হুগলির ফুরফুরা শরিফে গেলেন নিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। শুরু হল নতুন রাজনৈতিক তরজা! বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন,উনি প্রত্য়েকবার বিধানসভা ভোটের আগে যান। ১৬ সালেও গেছিলেন। ৫ বছর ফুরফুরার কথা ভুলে গেছিলেন। মুসলিমদের কথা ভুলে গেছিলেন। এখন ভোট এসেছে। তাই ফুরফুরায় যেতে হবে। ১৬-তেও গেছিলেন। আবার ২৬-এ ভোট আসছে, চাপে আছেন। পশ্চিম বাংলার হিন্দু ভোটার, যাঁরা তৃণমূলকে ভোট দেন, তাঁরা আজকে একটু টিভির দিকে নজর রাখবেন।২০১৫ সালের ১৮ই ডিসেম্বর..২০১৬-র বিধানসভা ভোটের আগে..ফুরফুরা শরিফে গেছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। মাঝে কেটে গেছে ৯ বছর! ফের একবার সেখানে মুখ্য়মন্ত্রী।
আরও পড়ুন, 'শো কজে আমি ভয় পাই না', বললেন হুমায়ুন ! ফের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুকে ?
'বাঁচতে গেলে, লড়তে গেলে, জিততে গেলে, মমতার পক্ষে সবকিছু করা সম্ভব'
প্রাক্তন সাংসদ ও কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, বাঁচতে গেলে, লড়তে গেলে, জিততে গেলে, মমতার পক্ষে সবকিছু করা সম্ভব। নেতাজি বলতেন, দারিদ্র ও বেকারি, অশিক্ষা ও রোগগ্রস্ততা, কর ও ঋণের বোঝা সব সমস্যাই হিনদু ও মুসলমান সহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের জনগণকে একইভাবে আঘাত করে এবং এগুলির সমাধানও সর্বাগ্রে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানের উপর নির্ভর করে৷ কিন্তু মানুষের সমস্য়া নয়, এখন ভোট গোছাতে ধর্ম নিয়েই আলোচনাতেই ব্য়স্ত রাজনীতিবদরা।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
