Hooghly: দাবি অনুযায়ী চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ হুগলির ক্লাব সদস্যদের বিরুদ্ধে
'ঘটনায় আমরা সবাই আতঙ্কিত। আগে আমরা যে যার সাধ্য মত চাঁদা দিতাম। এবার চাঁদা নিয়ে জুলুম করা হচ্ছে। কোভিডের কারণে এমনিতেই বাজার খারাপ যাচ্ছে। তার মধ্যে যদি চাঁদার জুলুম হয় তাহলে ব্যবসায়ীরা কী করবে?'
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: কালীপুজোর চাঁদা নিয়ে হুগলির সাহাগঞ্জে জুলুমবাজি! দাবিমতো চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ উঠল একটি ক্লাবের সদস্যদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এমনকী বিলে নাম লেখা ক্লাবের কোনও অস্তিত্ব নেই বলেই জানিয়েছে পুলিশ।
কালীপুজোয় ৫০১ টাকা চাঁদা দাবি। অভিযোগ উঠেছে দাবি মতো চাঁদা না পাওয়ায় ভরসন্ধেয় দোকানের সামনেই ব্যবসায়ীকে এলোপাথাড়ি চড়চাপ্পড়, ঘুষি মারা হল।
সোমবার ঘটনাটি ঘটে হুগলির সাহাগঞ্জের ডানলপ বাজার এলাকায়। মঙ্গলবার চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত ব্যবসায়ী সুব্রত সমাদ্দার। ডানলপ বাজারের আক্রান্ত ব্যবসায়ী সুব্রত সমাদ্দারের কথায়, 'ওর চাঁদা চাইতে আসে। ৫০১ টাকার বিল কেটে দেয়। কিন্তু আমি ৫১ টাকা দেব বলি। তাতেই ওরা রাজি না হয়ে হঠাৎ মারধর শুরু করে।'
চাঁদা না পেয়ে মারধরের ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কে ডানলপবাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা। ডানলপ বাজার কমিটির সদস্য মহাদেব কর্মকার বলেন, 'ঘটনায় আমরা সবাই আতঙ্কিত। আগে আমরা যে যার সাধ্য মত চাঁদা দিতাম। এবার চাঁদা নিয়ে জুলুম করা হচ্ছে। কোভিডের কারণে এমনিতেই বাজার খারাপ যাচ্ছে। তার মধ্যে যদি চাঁদার জুলুম হয় তাহলে ব্যবসায়ীরা কী করবে? আমাদের নিরাপত্তা কোথায়?'
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। তিনি এলাকায় গিয়ে ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করেন। তিনি বলেন, 'পুজো করতে গিয়ে এই ধরনের মারধর করা বরদাস্ত হবে না। দোষীদের গ্রেফতার করা হবে। দোষীরা গ্রেফতার হবেই। ব্যবসায়ীদের কোনও ভয় নেই। যে ক্লাবের নামে বিল, সেটা পুরনো ঘর। ক্লাবেরই অস্তিত্ব নেই।'
পুলিশ সূত্রে দাবি, চাঁদার বিলে লেখা 'মোল্লাপোতা ইউনিয়ন সঙ্ঘ', যার বাস্তবে কোনও অস্তিত্ব নেই। পুজোর কোনও অনুমোদনও নেওয়া হয়নি। এখনও অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।
আরও পড়ুন: ট্রেকিংয়ে গিয়ে মৃত্যু, উত্তরাখণ্ডে মিলল আরও ৫ বাঙালির মৃতদেহের হদিশ