Hooghly News : 'পথের কাঁটা সরে গেছে', স্বামী খুন হতেই স্বস্তির নিশ্বাস স্ত্রীর, 'প্রেমিকের সঙ্গে গর্হিত ষড়যন্ত্র'
পুলিশ সূত্রে খবর, বরুণ দাসের স্ত্রী অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। সেই যুবকের সঙ্গেই ষড় করে তিনি সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করেন স্বামীকে।

বাপন সাঁতরা, আরামবাগ: 'স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর' দাম দিতে হল জীবন দিয়ে। মর্মান্তিক পরিণতি ঘটল গোঘাটের যুবকের। অভিযোগ, প্রেমিকের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে পথের কাঁটা সরাতে স্বামীকে খুন করিয়েছেন স্ত্রী।
পুলিশ সূত্রে খবর, বরুণ দাসের স্ত্রী অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। সেই যুবকের সঙ্গেই ষড় করে তিনি সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করেন স্বামীকে। প্ল্যানমাফিক বরুণ দাসের সঙ্গে বন্ধুত্ব জমায় তাঁর স্ত্রীর প্রেমিক। তারপর একটি মদের আসরে ডাকা হয় বরুণ দাসকে। সেখানেই খুন হন তিনি। খবর পুলিশ সূত্রে। এরপর একটি ফোন আসে বরুণের স্ত্রীর কাছে, সম্ভবত তা তাঁর প্রেমিকের কাছ থেকেই। ফোনেই তিনি খবর পান স্বামী মারা গিয়েছে। সেটা নিশ্চিত হয়ে বরুণ দাসের স্ত্রী মিতা বলেন, 'যাক, পথের কাঁটা সরে গেল'। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই সময় মৃতের নাবালিকা মেয়ে সব কথা শুনে ফেলে। মায়ের মুখে এসব কথা শুনে শিরদাঁড়ায় শীতল স্রোত বয়ে যায় মেয়ের। এগিয়ে এসে , মেয়েই মা'কে জিজ্ঞাসা করে, কাকে খুন করেছ? তখন মা-ই বলেন, তোর বাবাকে। এরপর মা তার নাবালিকা মেয়েকে হুমকি দিয়ে বলেন, যদি কাউকে সে ঘটনার কথা জানায়, তাহলে তাকেও খুন করে দেওয়া হবে। নাবালিকা মেয়ে আতঙ্কে প্রথমে কাউকে কিছুই জানায়নি।
গত বৃহস্পতিবার থেকেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি বরুণ। তারপর পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করে। যদিও বরুণের স্ত্রীর মধ্যে হেলদোল দেখা যায়নি বলেই পরিবারের অভিযোগ। তাঁর স্বাভাবিক জীবনযাপন, রান্নাবান্না, খাওয়া-দাওয়া, কোনও কিছুতেই কোনও বদল আসেনি বলেই দাবি। আচরণ ছিল এক্কেবারে স্বাভাবিক। নিজেকে সন্দেহের ঊর্ধ্বে রাখতে নিখোঁজ স্বামীকে খোঁজার ব্যাপারেও তৎপর হন। পরিবারের দাবি, পুরোটাই নাটক করেছেন মৃতের স্ত্রী। জানা গিয়েছে, পাশের গ্রামের যুবক তন্ময়ের সঙ্গে বছর দেড়েক আগে মিতার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক বছর আগে মিতা তন্ময়ের হাত ধরে বাড়ি ছেড়েছিলেন। এক মাস আগে শ্বশুরবাড়ি ফিরে আসেন তিনি। তার পর পরিবারের কাছে নিজেকে ভাল গৃহবধূ প্রমাণ করার চেষ্টা করে। থেকেই স্বামীকে খুন করার ছক কষতে শুরু করেন তিনি ও তাঁর প্রেমিক। পুরো ঘটনাই ফাঁস হয়ে যায় পরিবারের লোকেদের বয়ান ও সন্দেহের বিন্দুগুলিকে মিলিয়ে।






















