Hooghly : চাঁপদানিতে ইএসআই হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়ন, উপকৃত হবেন ৪ জেলার শ্রমজীবী মানুষ
Infrastructure of ESI Hospital : চাঁপদানির গৌরহাটি ইএসআই হাসপাতালে উন্নত মানের পরিষেবা চালু হওয়ায় উপকৃত হবেন চার জেলার কয়েক হাজার শ্রমজীবী মানুষ।
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, চাঁপদানি : হুগলির চাঁপদানিতে ইএসআই হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়ন। উন্নতমানের চিকিৎসা পরিষেবার পাশাপাশি, অত্যাধুনিক যন্ত্র ও অক্সিজেন প্লান্টের উদ্বোধন করলেন শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না। চারটি জেলার শ্রমজীবী মানুষ উপকৃত হবেন বলে আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা ও পূর্ব বর্ধমান- এই চারটি জেলায় শিল্পাঞ্চল রয়েছে। চিকিৎসার জন্য শ্রমজীবী মানুষের ভরসা ESI কার্ড। কিন্তু বহু জায়গায় ESI হাসপাতালে আধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা মেলে না বলে অভিযোগ।
এহেন সমস্যার সমাধানে এবার হুগলির চাঁপদানির গৌরহাটি ইএসআই হাসপাতালে অত্যাধুনিক যন্ত্র ও উন্নত মানের চিকিৎসা পরিষেবার উদ্বোধন হল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, চালু হল সিটি স্ক্যান, অক্সিজেন প্লান্ট এবং HDU।
ব্যান্ডেল, শ্রীরামপুর ও চাঁপদানি, হুগলি জেলায় তিনটি ইএসআই হাসপাতাল রয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এরপরও এতদিন সিটি স্ক্যান করাতে হুগলির বাসিন্দাদের ছুটতে হত কলকাতার মানিকতলা ইএসআই-তে। এবার থেকে চাঁপদানির ইএসআই হাসপাতালেই মিলবে এই পরিষেবা। শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, শ্রমজীবী মানুষ ও তার পরিবার এর ফলে উপকৃত হবে। চারটি জেলার মানুষ সুবিধা পাবে। এগুলো গৌরহাটি হাসপাতালের নতুন পালক।
চাঁপদানির গৌরহাটি ইএসআই হাসপাতালে উন্নত মানের পরিষেবা চালু হওয়ায় উপকৃত হবেন চার জেলার কয়েক হাজার শ্রমজীবী মানুষ।
অন্য একটি ঘটনায়, চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে ট্রেন (Train) আর প্ল্যাটফর্মের মাঝে পড়ে যাচ্ছিলেন দুই মহিলা যাত্রী (Woman Passenger)। কোনওক্রমে ট্রেনের দরজার হাতল ধরে ঝুলতে থাকেন। সেই সময় দৌড়ে এসে তাঁদের প্রাণ বাঁচান কর্মরত আরপিএফ (RPF) কর্মী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির (Hooghly) ব্যান্ডেল স্টেশনে (Bandel Station)। গোটা ঘটনা ক্যামেরাবন্দি হয়েছে সিসিটিভিতে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোর পাঁচটা দশে ব্যান্ডেল স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে ডাউন ব্যান্ডেল - হাওড়া লোকাল ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়েই ট্রেন ছাড়ে। কিন্তু ট্রেন ছাড়তেই দেখা যায় দুই মহিলা যাত্রী দৌড়ে এসে চলন্ত ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করছেন। দুই মহিলা যাত্রীরই বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি। একেবারে ভোরের ট্রেন হওয়ায় সেই সময় ট্রেনেও যাত্রী কম ছিল। প্ল্যাটফর্মেও হাতে গোনা কয়েকজন যাত্রী ছিলেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, চলন্ত ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করতে গিয়ে টাল সামলাতে পারেননি ওই দুই মহিলা যাত্রী। আর তারপরই টাল সামলাতে না পেরে প্ল্যাটফর্ম এবং ট্রেনের মাঝখানে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছিল তাঁদের। কোনওক্রমে ট্রেনের দরজার হাতল ধরে ফেলেন। কিন্তু তারপর দেখা যায় ট্রেনের দরজার লোহার রড ধরে তাঁরা চলন্ত ট্রেনের সঙ্গে এগিয়ে চলেছেন। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ট্রেনে থাকা এবং প্ল্যাটফর্মে থাকা গুটিকয়েক যাত্রী।