Champahati News: চম্পাহাটিতে বাজি কারখানায় ফের বিস্ফোরণ, ঝলসে গেলেন মহিলা-সহ ৩ জন
Firecrackers Factory: আর কবে বাজি কারখানার ক্লাস্টার তৈরি হবে ? কবে বন্ধ হবে, ঘরে ঘরে অবৈধ বাজি তৈরির কাজ ? উঠছে প্রশ্ন।
হিন্দোল দে, চম্পাহাটি : চম্পাহাটিতে বাজি কারখানায় ফের বিস্ফোরণ। ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন। বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে ঝলসে গেলেন মহিলা-সহ তিন জন ! চম্পাহাটির হাঁড়ালে ঘটনাটি ঘটে। বিস্ফোরণে গুরুতর আহতদের নাম- পিন্টু মণ্ডল, শঙ্করী সর্দার ও ভক্তি সর্দার। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহতদের আনা হল বাঙুর হাসপাতালে।
এক বাজি ব্যবসায়ী বলেন, 'এবছর কালীপুজোয় বাজার খুব খারাপ ছিল। অনেকের বাজি বিক্রি হয়নি। ওঁর বাজিও বিক্রি হয়নি। ওঁর কিছু মাল ছিল। সেগুলো ঘরে রাখা ছিল। ওঁর বউ রান্না করছিলেন। হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটে। আগুন ছিটকে যে ঘরে মালপত্র ছিল সেখানে চলে যায়। তাতে আগুন লেগে যায়। বাড়িটা পিন্টু মণ্ডলের।'
কখনও এগরা, কখনও বজবজ কিংবা মহেশতলা, কখনও আবার দত্তপুকুর। গত কয়েক বছরে রাজ্য়ের নানা প্রান্তে বেআইনিভাবে বাজি মজুত করায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আর কবে বাজি কারখানার ক্লাস্টার তৈরি হবে ? কবে বন্ধ হবে, ঘরে ঘরে অবৈধ বাজি তৈরির কাজ ? উঠছে প্রশ্ন।
মহেশতলা, বজবজ থেকে এগরা-দত্তপুকুর-মধ্যমগ্রাম ধ্বংসের ছবিগুলো কমবেশি একই রকম। বদলে যায় শুধু সাল-তারিখ আর জায়গার নাম। বেআইনি বাজি কারখানার বিস্ফোরণ, ছারখার করেছে বাংলার বিভিন্ন জায়গাকে। কেড়েছে জীবনও। কাউকে দিয়েছে সারা জীবনের ক্ষত। প্রতিবার বাজি বিস্ফোরণ হলেই সতর্কতা, নজরদারি, কঠোর বিধির মতো শব্দগুলো ফিরে আসে সরকার ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের মুখে। কিন্তু, তারপর আবার একটা বিস্ফোরণ সেগুলোকে দাঁড় করিয়ে দেয় প্রশ্নচিহ্নের মুখে। সম্প্রতি হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় বাড়িতে মজুত বাজি থেকে বিস্ফোরণের ঘটনার পরও যে প্রশ্নগুলো আরও একবার উঠতে শুরু করে।
গতবছরের ২০ মার্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে প্রাণ যায় ৩ জনের। ওই বছরই ১৬ মে, পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। কেড়েছিল ১১টি প্রাণ। কিন্তু, তার থেকে প্রশাসন শিক্ষা নেয়নি, সেটা স্পষ্ট হয়ে যায় এক সপ্তাহের মধ্য়েই। ওই বছর ২২ মে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে বেআইনিভাবে মজুত বাজিতে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় এক নাবালিকা-সহ ৩ জনের। বিস্ফোরণের জেরে আগুন লেগে ভেঙে পড়ে অস্থায়ী টিনের ছাউনি। তাতেই চাপা পড়ে যান তিনজন। আর বেরতে পারেননি। খাদিকুল ও বজবজের রেশ কাটার মধ্যেই, গতবছর ২৮ অগাস্ট, ফের বেআইনি বাজি কারখানার বিস্ফোরণ কাঁপিয়ে দেয়, উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরকে। মৃত্য়ু হয় ৯ জনের। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল, যে ২০০ মিটার দূরে মিলেছিল দেহাংশ। বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছিল ১০ কিলোমিটার দূর থেকেও।