Hooghly : বাড়িতেই ৩০ রকমের জবা তৈরি রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্রের, স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক স্তরে
Hooghly : দীপের সিঙ্গুরের বাড়ির ছাদে প্রায় দেড়শো প্রজাতির জবাগাছ রয়েছে। লাল, হলুদ, গোলাপি, বেগুনি, নীল, সাদা, রঙের ফুলঝুরি তাঁর ছাদ জুড়ে
সঞ্চয়ন মিত্র, সিঙ্গুর (হুগলি) : বাড়িতেই ৩০ রকমের জবাফুল তৈরি করেছেন এমএসসি বটানির প্রথম বর্ষের ছাত্র। মিলেছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও (International Recognition)। হুগলির সিঙ্গুরে (Hooghly Singur) বাড়ির ছাদে ফুটে রয়েছে নানা রঙের জবা। ছাত্রের বক্তব্য, আরও বড় পরিসরে গাছ না করতে পারলে এসব রক্ষা করা মুশকিল।
সাধক বলেছেন, মায়ের পায়ের জবা হয়ে ওঠ না ফুটে মন। যাঁর মন জবাতেই ডুবে রয়েছে তাঁর নাম দীপ চক্রবর্তী। হুগলির সিঙ্গুরের বলরামবাটীর বাসিন্দা দীপ চক্রবর্তী। স্কুল কলেজের গন্ডি পেরিয়ে এখন রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের এমএসসি বটানির প্রথম বর্ষের ছাত্র।
২১ বছর বয়েসেই তিনি তৈরি করেছেন প্রায় ৩০ রকমের জবা ফুল। ইন্টারন্যাশনাল হিবিসকাস সোসাইটিতে নথিভুক্ত হয়েছে তাঁর ১২টি প্রজাতির জবা।
রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের উদ্ভিদবিদ্যার ছাত্র দীপ বলেন, ছোটবেলায় বিভিন্ন জায়গায় যেতাম, সেখান থেকে গাছের ডাল নিয়ে আসতাম। ভালবাসা বাড়তে থাকল। একটা গাছের সঙ্গে আর একটা গাছের পরাগ মিলন করতাম।
তাঁর এই উদ্যোগকে স্বীকৃতি দিয়েছে, ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস, ২০২২। জবা ফুলের ওপর তাঁর লেখা বটানির পাঠ্য বইয়েও জায়গা পেয়েছে।
দীপের সিঙ্গুরের বাড়ির ছাদে প্রায় দেড়শো প্রজাতির জবাগাছ রয়েছে। লাল, হলুদ, গোলাপি, বেগুনি, নীল, সাদা, রঙের ফুলঝুরি তাঁর ছাদ জুড়ে। পরাগ মিলন ঘটিয়ে নতুনের উন্মেষ দেখাতেই তাঁর আনন্দ।
দীপ বলেন, আগামীদিনে বড় জায়গায় করা দরকার। মাদারস টাচ সিঙ্গুর, বেঙ্গল সানরাইজ, ডার্ক মাদার অফ বেঙ্গল, সাইনিং ব্লু, ...এই সব নাম দিয়েছি।
গোটা বাড়ি জুড়ে কোথাও বীজতলা করা হয়েছে, কোথাও ডাল কেটে তৈরি করা হচ্ছে চারা। এই সব নিয়েই দীপের জবার বাড়ি।
নিজের স্বল্প পরিসরে নিত্যদিন নতুন সৃষ্টিতে মগ্ন দীপ। তাঁর আশঙ্কা, আগামদিনে বড় পরিসরে সংরক্ষণ করতে না পারলে হারিয়ে যাবে এই সব নতুন প্রজাতির জবা।