Hooghly: নদীগ্রাসে মাথা গোঁজার শেষ আশ্রয়, ভাঙনে ভিটেছাড়া পরিবার
Hooghly River Bank Breakdown: তিলে তিলে গড়ে তোলা ইমারত যে কোনও মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে। মেঝেতে বড়সড় ফাটল, খসে পড়ছে ছাদ। খুলে পড়ছে দরজা, জানলার ফ্রেম।
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: হুগলির মগরায় কুন্তী নদীতে ভাঙন। পাড় লাগোয়া বেশ কয়েকটি বাড়ি ধসে পড়ার আশঙ্কা। প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও কাজ হয়নি, দাবি স্থানীয়দের। এলাকা পরিদর্শনে হুগলি জেলা পরিষদের প্রতিনিধিদল। দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
তিলে তিলে গড়ে তোলা ইমারত যে কোনও মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে। মেঝেতে বড়সড় ফাটল, খসে পড়ছে ছাদ। খুলে পড়ছে দরজা, জানলার ফ্রেম। এই ছবি হুগলির মগরার বিবি কলোনি এলাকার। জায়গাটা কুন্তীঘাট স্টেশন লাগোয়া।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে হুগলির শাখা নদী কুন্তীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। জানুয়ারি থেকে তা বিধ্বংসী চেহারা নিয়েছে। ভাঙনের জেরে রাস্তাঘাটের পাশাপাশি, পাড় লাগোয়া ৩-৪টি বাড়িতে ফাটল ধরেছে। ভিটেছাড়া হয়েছে ১৫-১৬টি পরিবার। প্রশাসনকে বারবার সতর্ক করেও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
আরও পড়ুন, আপের সদস্য সংগ্রহের কাজ শুরু বাংলায়, কটাক্ষ তৃণমূল-বিজেপির
মগরার বিবি কলোনির বাসিন্দা অপর্ণা বিশ্বাস বলেন, "বাড়িঘর ভেঙে যাচ্ছে...পাশে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে থাকছি...আদৌ কী হবে জানি না...প্রতিদিন ফাটল বাড়ছে।" অন্য আরেক বাসিন্দা পুতুল হালদার বলেন, "রাস্তায় বাচ্চাদের বের করতে ভয় পাচ্ছি...কিছুদিন আগে ভাসুর যাচ্ছিল...তার ওপর পাঁচিল ভেঙে পড়ে...কোনওরকমে বেঁচেছে।" দ্রুত সমাধানের আশ্বাস প্রশাসনের।
মগরার চন্দ্রহাটি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান শক্তিপদ দাস বলেন, "পঞ্চায়েতের তরফে পরিকল্পনা করে প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে...অৰ্থ বরাদ্দ হলেই কাজ শুরু হবে।" শনিবার এলাকা পরিদর্শনে যায় হুগলি জেলা পরিষদের প্রতিনিধিদল। পঞ্চায়েত তাকিয়ে আছে ওপরতলার দিকে। আর এলাকায় কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে মানুষের হাহাকার। ঘর-বাড়ি হারিয়ে কার্যত পথে বসেছেন বহু মানুষ।