Hooghly: ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ধস, কেদারনাথে বেড়াতে গিয়ে আটক হুগলির পর্যটকরা
দুদিন ধরে জল, খাবার না পেয়ে সমস্যায় পরেছেন তারা।
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: উত্তরাখন্ডের কেদারনাথে বেড়াতে গিয়ে প্রবল বৃষ্টি, ধসে আটকে পড়লেন বাঙালী পর্যটকরা। হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার ২৯ নং ওয়ার্ড বুড়ো শিবতলার বাসিন্দা চুমকি রায়ের পরিবার সেখানে গিয়ে আটকে পড়েছে।
জানা গিয়েছে, দুদিন ধরে জল, খাবার না পেয়ে সমস্যায় পরেছেন তারা। স্থানীয় ভাবে কোনো সরকারী সাহায্য পাচ্ছেন না তারা, এমনটাই জানান হয়। ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে চলছে ঝড়, ফলে উদ্ধার কার্য বাধা পাচ্ছে। কেদারনাথে যে হেলিকপ্টার সার্ভিস ছিল তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রায় দের হাজার পর্যটক আটকে রয়েছে কেদারে।
গত ১৫ অক্টোবর পূর্বা এক্সপ্রেসে রওনা হয়ে ১৭ তারিখ কেদারে পৌঁছন চুমকি রায় তার স্বামী বিশ্বজিৎ রায় ও তাদের মেয়ে অন্বেষা। তাদের সঙ্গে আরো দুজন অরিজিৎ শীল ও সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় ছিলেন। ভারী বৃষ্টি আর ঝড় শুরু হতেই ধস নামে পাহাড়ে। অরিজিৎ ও সত্যব্রত বাবু ঝুঁকি নিয়ে গৌরীকুন্ডে নেমে চলে আসতে পারলেও চুমকি দেবীর পরিবার নামতে পারেনি। চুমকি দেবীদের কেদার থেকে বদ্রীনাথ গুপ্তকাশি হয়ে লক্ষ্ণৌ পৌঁছে ২৪ তারিখ ফেরার কথা ছিল তাদের।কিন্তু খারাপ আবহাওয়া দূর্যোগে পরে খুব খারাপ অবস্থা পর্যটকদের।
এদিকে, পুজোয় উত্তরাখণ্ডে বেড়াতে গিয়ে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচলেন ১৪ জন বাঙালি পর্যটক। প্রবল বৃষ্টি ও ধসের জেরে তাঁরা আটকে পড়েন। সবাই সুস্থ থাকলেও, কবে বাড়ি ফিরবেন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
প্রকৃতি কতটা ভয়ঙ্কর, সর্বগ্রাসী হতে পারে তা আরও একবার টের পেল উত্তরাখণ্ড। আর এই পাহাড়ি রাজ্যে পুজোর ছুটি কাটাতে গিয়ে, বিপদে পড়েছেন হাওড়া থেকে যাওয়া ১৪ জন পর্যটকের দল। সোমবার রাতে পর্যটকদের ফেরার ট্রেন ছিল কাঠগোদাম স্টেশন থেকে। কিন্তু, প্রবল বৃষ্টিতে কাঠগোদাম ফেরার রাস্তায় বড়সড় ধস নামে। আটকে পড়েন সবাই। বিপদের সময় ওই পর্যটকদের পাশে দাঁড়ান স্থানীয়রা। আপাতত তাঁদের আশ্রয়ে রয়েছেন তাঁরা। কিন্তু ঘরে ফিরবেন কীভাবে? দেখা দিয়েছে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা।