SFI Protest: পথচলতি মানুষের হাতে মাছভাজার তুলে দিয়ে প্রতিবাদ, পরেশ রাওয়ালের কটাক্ষের বিরোধীতায় পথে SFI
Paresh Rawal Controversy: পথচলতি মানুষের হাতে মাছভাজার টুকরো তুলে দিলেন এসএফআইয়ের সদস্যরা। বিজেপির প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি
হুগলি: বাঙালির মত্স্যপ্রীতি নিয়ে বিজেপি (BJP) সাংসদ ও অভিনেতা পরেশ রাওয়ালের (Paresh Rawal) কটাক্ষের বিরোধিতায় এবার পথে নামল এসএফআই (SFI)। হুগলির (Hooghly) কোন্নগরে স্টেশন সংলগ্ন বাজারে পরেশ রাওয়ালের ছবি টাঙিয়ে, তার সামনে মাছ ভেজে প্রতিবাদ জানালেন বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। পথচলতি মানুষের হাতে মাছভাজার টুকরো তুলে দিলেন এসএফআইয়ের সদস্যরা। বিজেপির (BJP) প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
ঘটনার প্রেক্ষাপট: গত ২ ডিসেম্বর রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম কমলে কী করবেন? বাঙালিদের জন্য মাছ রান্না করবেন? গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বাঙালি বিদ্বেষী মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা পরেশ রাওয়াল (Paresh Rawal)। তৃণমূল থেকে সিপিএম, প্রত্যেকেই পরেশ রাওয়ালের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন। অস্বস্তির মুখে পড়েছে বিজেপিও। বিতর্কের জেরে ক্ষমা চেয়েছেন পরেশ রাওয়াল।
বাঙালি বিদ্বেষী মন্তব্য: বঙ্গ বিজেপি যখন বাঙালির মন জয়ের জন্য পাহাড় থেকে সমুদ্র ঝাঁপাচ্ছে, তখন হাইভোল্টেজ গুজরাত বিধানসভা ভোটের প্রচারে বাঙালি সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করে কড়া সমালোচনার মুখে পড়লেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ ও অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। বাঙালি বিদ্বেষী মন্তব্য করে বিতর্কের মুখে মোদি ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা পরেশ রাওয়াল!
বিদ্রুপের সুরে টেনে আনলেন ‘মাছে-ভাতে’ বাঙালির প্রসঙ্গ! বিজেপি নেতা ও অভিনেতা পরেশ রাওয়াল বলেন, গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম এখন চড়া। আবার কমেও যাবে। সাধারণ মানুষ চাকরিও পাবেন। কিন্তু, যদি রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু এবং বাংলাদেশিরা আপনাদের পাশেই থাকতে শুরু করেন, দিল্লির মতো? তখন গ্যাসের সিলিন্ডার নিয়ে কী করবেন? বাঙালিদের জন্য মাছ রান্না করবেন?
ভুল সংশোধনে ট্যুইট: পরেশ রাওয়ালের মন্তব্যের প্রতিবাদে এদিন মাছভাজা দিয়ে অভিনব প্রতিবাদ জানায় বাংলাপক্ষ। সমালোচনার ঝড়ের মুখে অবশেষে ক্ষমা চেয়েছেন বিজেপি নেতা পরেশ রাওয়াল। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, অবশ্যই মাছ নিয়ে আলাদা করে বলা ঠিক হয়নি। গুজরাতের মানুষও মাছ খান। বাঙালি বলতে আমি কী বুঝিয়েছি, সেটা স্পষ্ট করি এ বার। আমি শুধু বেআইনি ভাবে থাকা বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের কথাই বলতে চেয়েছি। কারও অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া আমার উদ্দেশ্য ছিল না। ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
তারকা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে নেতা হিসাবে সামনে রেখে, যখন জেলায় জেলায় সংগঠনকে চাঙ্গা করতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি....তখন গুজরাতে আরেক অভিনেতা কাম নেতার মন্তব্যে অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।