Passport Scam: জাল বার্থ সার্টিফিকেট দিয়ে 'আসল' পাসপোর্ট ! ৩ হাত ঘুরে লেনদেন, একের পর এক গ্রেফতার রাজ্যে
West Bengal Passport Scam: জাল সার্টিফিকেট দেখে সন্দেহ, একের পর এক গ্রেফতার রাজ্যে, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য
হুগলি: জাল বার্থ সার্টিফিকেট দিয়ে 'আসল' পাসপোর্ট, আরও গ্রেফতার! বর্ধমান, সিঙ্গুরের পরে খানাকুল থেকে আরও গ্রেফতার। জাল নথি দিয়ে পাসপোর্ট তৈরির চেষ্টা, গ্রেফতারি বেড়ে ৫। হুগলি থেকে ভাস্কর সামন্তকে গ্রেফতার করল বর্ধমান পুলিশ।ওয়েবসাইট তৈরি করে জাল বার্থ সার্টিফিকেট, হাতে পেলেই পাসপোর্ট! জেলায় জেলায় জাল নথি দিয়ে 'আসল' পাসপোর্ট তৈরির চক্র! বর্ধমান থেকে গ্রেফতারি সূত্র ধরে সিঙ্গুর, খানাকুল থেকে গ্রেফতার। জাল সার্টিফিকেটের তথ্য নিয়ে ৩ হাত ঘুরে মোটা অঙ্কের লেনদেন! বর্ধমানে জাল সার্টিফিকেট দেখে সন্দেহ, একের পর এক গ্রেফতার।
পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে সর্ষের মধ্যেই ছিল ভূত! সম্প্রতি গ্রেফতার হন কলকাতা পুলিশের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত সাব ইনস্পেক্টর। ধৃত আব্দুল হাই সিকিউরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের পাসপোর্ট সেকশনে কর্তব্যরত ছিলেন। পুলিশ সূত্রে দাবি, জোড়-বিজোড় তারিখের সুযোগ নিয়ে বেছে বেছে ভেরিফিকেশনের নামে জালিয়াতি। সমরেশ বিশ্বাস থেকে মনোজ গুপ্ত, ধীরেন ঘোষ,অবৈধভাবে পাসপোর্ট তৈরির চক্র যে কীভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, তা একের পর এক গ্রেফতারি থেকেই স্পষ্ট। আর এরইমধ্য়ে উঠে এল আরও এক চাঞ্চল্য়কর তথ্য় , সর্ষের মধ্যেই ছিল 'ভূত'। পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে গ্রেফতার হলেন কলকাতা পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত এক সাব ইনস্পেক্টর। ধৃত আব্দুল হাই, সিকিউরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের পাসপোর্ট সেকশনে কর্তব্যরত ছিলেন।এই নিয়ে পাসপোর্টকাণ্ডে গ্রেফতার করা হল মোট ৯ জনকে।সিকিউরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের পাসপোর্ট সেকশনে, এনকোয়ারি অফিসার বা ভেরিফাইং অফিসার ছিলেন তিনি। ওই বিভাগে আড়াই বছর চাকরি করার পর, ২০২৩-এর ৩১ অক্টোবর অবসর নেন আব্দুল হাই।
পুলিশ সূত্রে দাবি, কর্মজীবনেই পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডের কিংপিন মনোজ গুপ্ত, সমরেশ বিশ্বাস ও ধীরেন ঘোষদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল ধৃত প্রাক্তন SI-এর।উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল অবসরপ্রাপ্ত সাব ইনস্পেক্টরকে। ধৃত অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারের স্ত্রী বলেছিলেন, 'কোনও সমস্যা, কোনওদিনও আজ পর্যন্ত আমি শুনিনি। যে কোনও একটা সমস্যা হয়েছে, কোনওদিন কোনও অফিসার কোনও কিছু বলেছেন, যে কোনও একটা সমস্যা হয়েছে, এটা কেন করেছেন? ওটা কেন করেছেন? কোনওরকম ত্রুটি আজ পর্যন্ত হয়নি। কীভাবে কী ফাঁসানো হয়েছে, কী হয়েছে, কোনও সামান্য কিছু হলে বড় করে ফাঁসানোর হয়তো চেষ্টা হয়েছে। নাহলে এইভাবে কেন নিয়ে যাওয়া হল।'
আরও পড়ুন, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই মালদায় তৃণমূল নেতা খুন? স্ক্যানারে আরেক নেতা
কিন্তু কীভাবে পাসপোর্ট জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সাব ইনস্পেক্টর? পুলিশ সূত্রে দাবি, নিয়ম অনুযায়ী, জোড় দিন অর্থাৎ ২, ৪, ৬, ৮ তারিখগুলোতে পাসপোর্টের আবেদনকারীর যাবতীয় নথিপত্র দিয়ে যে ফাইল তৈরি হত, তা করার দায়িত্ব থাকে সিকিউরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের এনকোয়ারি অফিসার বা ভেরিফাইং অফিসারের উপর। অর্থাৎ যে দায়িত্বে ছিলেন আব্দুল হাই। আর বিজোড় দিনগুলিতে সেই কাজ করতেন থানার অন্য় সাব ইনস্পেক্টররা। পুলিশ সূত্রে দাবি, পাসপোর্ট-জালিয়াতিতে ধৃত মনোজ গুপ্তের ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের মাধ্যমে, ১৫০জন বাংলাদেশের নাগরিককে ভারতের পাসপোর্ট বানিয়ে দিয়ে, ইউরোপে যাওয়ার পথ করে দিয়েছিল ধৃত ধীরেন ঘোষ। পুলিশ সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, জাল নথির ভিত্তিতে তৈরি হওয়া ওই ১৫০টি পাসপোর্টের মধ্যে, ৫১টির ক্ষেত্রে পুলিশ ফেরিফিকেশন রিপোর্ট বা PVR তৈরি করেছিলেন ধৃত প্রাক্তন পুলিশ অফিসার। পাসপোর্ট প্রতি ২৫ হাজার টাকা করে তিনি নিতেন বলে পুলিশ সূত্রে দাবি।