Howrah: গভীর রাতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, লরির ধাক্কায় মৃত্যু সরকারি কর্মীর, প্রাণ হারালেন লরি চালকও
Howrah Accident: হাওড়ার রানিহাটি মোড়ে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে নাকা চেকিং চলছিল। সেখানেই দুর্ঘটনা ঘটে।
সুনীত হালদার, হাওড়া: পুজোর মুখে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। গাড়িতে তল্লাশির সময় সরকারি কর্মীকে পিষে দিল লরি। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক লরি চালকেরও। ঘটনাস্থল হাওড়ার (Howrah) রানিহাটি মোড়।
বুধবার রাতে, রাস্তায় নাকা তল্লাশি চলছিল। ওই দিন রাত আড়াইটা নাগাদ হাওড়ার রানিহাটি মোড়ে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে নাকা চেকিং চলছিল। গাড়ি পরীক্ষা করছিলেন মোটর ভেহিকেলস দফতরের কর্মীরা। কলকাতাগামী একটি লরিতে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন সিভিক ভলান্টিয়ার কর্মীরা। সেই সময় পিছন থেকে আর একটি লরি দ্রুতবেগে এসে ধাক্কা মারে দাঁড়িয়ে থাকা লরিটিকে।
কীভাবে এই দুর্ঘটনা:
রাতে কলকাতামুখী লরিগুলিকে থামিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছিলেন। একটি লরিতে তল্লাশি চলছিল। তখনই পিছন থেকেও আর একটি লরি আসছিল। সেই লরিটিকেও থামাতে যান মোটর ভেহিকেলস-এর আধিকারিক এবং সিভিক ভলান্টিয়াররা। অভিযোগ, সেই সময় ওই লরিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। দ্রুতবেগে এসে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা লরিটির পিছনে ধাক্কা মারে। ওই দুর্ঘটনার অভিঘাতে দুমড়ে-মুচড়ে যায় পিছনের লরিটি। সেই সময়েই ওই জায়গায় কর্মরত উলুবেড়িয়ার মোটর ভেহিক্যালস ইন্সপেক্টর উজ্জ্বল জানা এবং সিভিক ভলান্টিয়ার অরিন্দম বিশ্বাস প্রথম লরিটির চাকায় পিষ্ট হয়ে যান। দুর্ঘটনার অভিঘাত এতটাই তীব্র ছিল যে পিছনের লরিটি দুমড়ে-মুচড়ে তার ভিতরেই আটকে পড়েন সেটির চালক।
দুর্ঘটনার পর তিনজনকে প্রথমে স্থানীয় গাববেড়িয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁদের হাওড়া জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেও তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃত লরি চালকের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
প্রায়শই দুর্ঘটনা:
রাজ্যের নানা জায়গায় প্রায়শই সড়ক দুর্ঘটনার কথা শোনা যায়। অনেকসময়েই যেমন তার জন্য দায়ী অসতর্কতা। তেমনই বেপরোয়া গাড়ি চলাচলের জন্য়ও এমন ঘটনা ঘটে। কদিন আগেই বাঁকুড়াতেও ঘটেছিল এমন ঘটনা। বাঁকুড়ার সারেঙ্গা থানার খয়েরপাহাড়ি এলাকায় একটি বাইককে ধাক্কা মেরে পালাতে গিয়েছিল মদ্যপ গাড়ি চালক। সেই সময়ে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকেও ধাক্কা মারেন তিনি। পরে কাড়ভাঙ্গার কাছ থেকে তাঁকে ধরা হয়। তারও কিছুদিন আগে পশ্চিম মেদিনীপুরেও একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল। মেদিনীপুর সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে সরকারি বাস স্ট্যান্ডে দাঁড় করিয়ে ঠিকভাবে ব্রেক না দিয়ে নেমে পড়েছিলেন বাসের চালক। তারপরেই বাসের বনেট খোলার চেষ্টা করে খালাসি। দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি পিছিয়ে যাওয়ায় বিপত্তি। গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ছেলের, গুরুতর আহত হন তাঁর বাবা।
আরও পড়ুন: টানা দু'দিন কুর্মিদের বিক্ষোভ, বাতিল বহু ট্রেন, চরম ভোগান্তি, রইল তালিকা