Howrah News: এবার উলুবেড়িয়া ও বীরশিবপুর স্টেশনের মাঝে ভিড়ে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু যুবকের?
Howrah News: এরইমধ্যে আজ সকালে বীরশিবপুর স্টেশনের কাছে চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। মৃতের নাম সুগত পাড়ুই।হেড ফোন লাগিয়ে রেল লাইন পেরোনোর সময় দুর্ঘটনা।
সুনীত হালদার, হাওড়া: উলুবেড়িয়ায় (Uluberia Station) দুঘটনায় মৃত ২। অভিযোগ, গতকাল রাতে উলুবেড়িয়া ও বীরশিবপুর স্টেশনের মাঝে ভিড়ে ঠাসা ট্রেন (Crowded Train) থেকে পড়ে মৃত্যু (Death) হয় এক যুবকের। মৃত যুবকের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে, ভিড়ের চাপে নাকি অসাবধানতাবশত লোকাল ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের, তা খতিয়ে দেখছে রেল পুলিশ।
এরইমধ্যে আজ সকালে বীরশিবপুর স্টেশনের কাছে চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। মৃতের নাম সুগত পাড়ুই। হেড ফোন লাগিয়ে রেল লাইন পেরোনোর সময় বীরশিবপুর স্টেশনের কাছে লোকাল ট্রেনের ধাক্কায় মারা যায় সুগত। তাঁর বাড়ি হাওড়া শ্যামপুরের বসন্তপুর গ্রামে। মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য উলুবেড়িয়া হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে উলুবেড়িয়া জিআরপি থানার পুলিশ।
দুদিন আগেই ভিড়ে ঠাসা ট্রেন থেকে পড়ে এক যাত্রী আহত হন বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনা ঘটেছে ডানকুনি ও বেলানগর স্টেশনের মাঝামাঝি হাজরাপাড়া ক্রসিংয়ে। সূত্রের খবর, চন্দন প্রচণ্ড নামে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার বাসিন্দা চন্দন প্রচণ্ড তাঁর স্ত্রী ও আত্মীয়দের সঙ্গে কলকাতায় আসছিলেন। আত্মীয়দের দাবি, ভিড়ের কারণে তিনি কোনওভাবে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যান। আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরপাড়া জেনারেল হাসপাতালে। পরে তাঁকে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মাঝ রাস্তাতেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির।
একদিকে করোনা সংক্রমণ এড়াতে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন চালানোর সরকারি নির্দেশ।এই টানাপোড়েনের মধ্যেই এবার ভিড়ের চাপে চলন্ত লোকাল ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ উঠল।পরিবার সূত্রে খবর, লোকাল ট্রেন ধরে ডানকুনি থেকে খড়গপুর ফিরছিলেন তিনি। অভিযোগ, প্রচণ্ড ভিড়ের চাপে লোকাল ট্রেনের কামরার ভিতরে ভাল করে ঢুকতে পারেননি ওই ব্যক্তি। দরজার কাছে কোনওমতে ঝুলছিলেন। ভিড়ের চাপে ডানকুনি আর বেলানগর স্টেশনের মাঝে হাজরাপাড়া এলাকায় নীচে পড়ে যান তিনি। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁকে প্রথমে উত্তরপাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় জখম ট্রেনযাত্রীকে উত্তরপাড়া হাসপাতাল থেকে কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। পরিবার সূত্রে খবর পথেই মারা যান তিনি।
লোকাল ট্রেনে কীভাবে অর্ধেক যাত্রী ওঠা নিশ্চিত করা যাবে? সেই সমাধান অধরাই। তার বদলে রোজই প্রবল ভিড়, হুড়োহুড়ি, ধাক্কাধাক্কি আর তুমুল বিশৃঙ্খলা। গত সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর স্টেশনে ভিড়ের চাপে ট্রেন থেকে মহিলা যাত্রীর পড়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে।দমদম স্টেশনে বনগাঁগামী ট্রেন থেকে পড়ে যান এক যাত্রী।এবার অব্যবস্থার মাশুল দিতে হল মৃত্যুর বিনিময়ে।