Howrah Mangalahat: বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত মঙ্গলাহাট, 'সংসার কীভাবে চালাব?' কান্নায় ভাঙলেন ব্যবসায়ীরা
Mangalahat Fire: পুজোর আগে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি। মাথায় হাত হাটের উপর নির্ভরশীল ব্যবসায়ী, দর্জি ও কারিগরদের। কীভাবে সংসার চলবে? রাতের ঘুম উড়েছে সবার।
সুনীত হালদার, হাওড়া: বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত হাওড়ার (Howrah) মঙ্গলাহাট (Manglahat)। পুড়ে ছাই ৪ হাজারের বেশি দোকান। পুজোর (Durga Puja) আগে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি। মাথায় হাত হাটের উপর নির্ভরশীল ব্যবসায়ী, দর্জি ও কারিগরদের। কীভাবে সংসার চলবে? রাতের ঘুম উড়েছে সবার।
ঘরে ঘরে তৈরি হচ্ছে নানান রঙের পোশাক। দিন-রাত কাজ করে চলেছেন দর্জিরা। হাওড়ার বাঁকড়া, উনসানি, ডোমজুড়, জগৎবল্লভপুর, পাঁচলা ও উলুবেরিয়ায় বাড়ি বাড়ি দেখা যায় এই ছবি। পুজো এলে বাড়ে ব্যস্ততা। এখানে পোশাক তৈরির শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কয়েক লক্ষ শ্রমিক। বড় বড় দোকান থেকে কাপড় এনে তৈরি হয় জামা-প্যান্ট, সালওয়ার, ফ্রক। কেউ পোশাকে ডিজাইন করেন, কেউ কাপড় কাটেন, কেউ সেলাই করে, আবার কেউ জামায় বোতাম বসান। অনেকে আবার প্যাকিংয়ের কাজ করেন। এটাই একমাত্র উপার্জনের পথ। তাই রুটি-রুজির টানে পুরুষদের সঙ্গে হাত লাগান বাড়ির মহিলারাও।
যে সব জায়গায় এই পোশাক বিক্রি হয় মঙ্গলাহাট তার অন্যতম। এই হাটে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে রাতের ঘুম উড়েছে পোশাক ব্যবসায়ীদের। পোশাক ব্যবসায়ী শ্যামসুদ্দিন পিয়াদা বলেন, 'আমরা কীভাবে চালাব। এত দর্জি এদের পয়সা কী করে দেব। মাল বেঁচব কী করে। ৪০ বছরের পুরনো দোকান। এখানে ১৫-১৬ জন দর্জি আছে তাদের কী করে চালাব। কারিগর এত কাজ করে খায়। কীভাবে চলবে?'
বৃহস্পতিবার রাতের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে মঙ্গলাহাটের ৪ হাজারের বেশি দোকান। ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। হাটে পোশাক বিক্রি না হলে মিলবে না মজুরি। মাথায় হাত দর্জি এবং কারিগরদের। দর্জি শেখ হাবিব বলেন, 'কী করে চলবে আমাদের। কী করে খাব। ছোট ছোট বাচ্চা রয়েছে। হাওড়া হাটে যায় মাল। আমরা ২-৩টে ওস্তাগারে কাজ করি। হাওড়া হাটে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। খুব চিন্তা হচ্ছে। হাওড়া হাটটাই আমাদের মেন।'
আরও পড়ুন, মেয়ের প্রথম ঋতুস্রাব, বেলুন দিয়ে ঘর সাজিয়ে, কেক কেটে উদযাপন করলেন বাবা
বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে গেছে মঙ্গলাহাট। হাট আবার কবে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে জানা নেই কারোর। সামনে পুজো। এই পরিস্থিতিতে সরকারের দিকে তাকিয়ে ব্য়বসায়ী, দর্জি ও কারিগররা। দর্জি সাহেব আলি পিয়াদা বলেন, 'এই মাল আমাদের হাটে যায়। প্রতি সপ্তাহে হাটে যায়। হাট পুড়ে গেছে। মাল আর হাটে যাবে না। ওস্তাগার আমাদের পয়সা দিতে পারবেন না। এই করে আমরা খাই। কী করে আমাদের সংসার চলবে। ওস্তাগাররা এখন কিছু বলছে না। দিদি তো গিয়েছিল দেখলাম। দিদির উপর আশা আছে।'
পুজো আসছে। এই সময় ঘরে ঘরে কাজ বাড়ার কথা, তখন অগ্নিকাণ্ড কেড়ে নিয়েছে সব কিছু। পুজোর আগে কবে আবার আগের ছন্দে ফিরবে মঙ্গলাহাট। সেই অপেক্ষায় সকলে।