Howrah News: মেঝেতে চাপ চাপ রক্ত, এভাবে দেখতে হবে স্ত্রীকে ! ভাবেননি বেলুড়ের অক্ষয় পাল
Belur Murder Case: বেলুড় ধর্মতলা রোডে গৃহবধূ খুনের অভিযোগ, ভরা পুজোয় এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
ভাস্কর ঘোষ,হাওড়া: বাড়ি ফিরে যে আর দেখা হবে না, স্ত্রীর সঙ্গে, তখনও ভাবেননি বেলুড়ের অক্ষয় পাল। ভরা পুজোয় চিরবিদায় সহধর্মিণীর । জানা গিয়েছে, বালিতে খুন হয়েছে এক গৃহবধূ। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়েছিল তাঁর দেহ। শেষ অবধি মৃতদেহ উদ্ধার করে বালি থানার পুলিশ। বেলুড় ধর্মতলা রোডের ঘটনায় এই মর্মান্তিক ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে। বেলুড় ধর্মতলা রোডের বাসিন্দা গৃহবধূ দীপা পালের (৩১) দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বালি থানার পুলিশ। তাঁর স্বামী অক্ষয় পাল কাজের সূত্রে সকালে বের হয়েছিলেন। রাতে বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন তাঁর স্ত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ঘরের মেঝেতে। মেঝে রক্তে ভেসে যাচ্ছে। এরপর ঘটনাস্থলে বালি থানার পুলিশ এসে দেহটিকে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে পাঠায়। তবে কী কারণে এই খুন ? এখনও পর্যন্ত তা জানা যায়নি। ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য ঘরটিকে ঘিরে রাখা হয়েছে। বালি থানার পুলিশ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। মৃতার স্বামী অক্ষয় পালকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন, আজ তৃতীয়া, বেলুড় মঠ সংলগ্ন গঙ্গায় আরতি করলেন খোদ বারাণসীর পূজারিরা
বাইশ সালে হুগলির শ্রীরামপুরের ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায় খুন হয়েছিলেন এক গৃহবধূ। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছিল। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেছিলেন। দিনে দুপুরে এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছিল শ্রীরামপুর প্রভাসনগরে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃতার স্বামী রমেশ সাউ তাঁদের ছেলেকে স্কুল থেকে নিয়ে আসতে গিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরে দেখেন ঘরের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন স্ত্রী। তাঁর গলা কোনও ধারাল অস্ত্র দিয়ে কাটা। হাতেও ছিল ধারাল অস্ত্রের ক্ষত। বাড়ি ফিরে এমন দৃশ্যে দেখে দ্রুত স্ত্রীকে টোটোয় চাপিয়ে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি বছর চল্লিশের রেনু সাউকে। চিকিৎসকেরা ওই মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করেছিলেন। শ্রীরামপুর পুরসভার ২৯ নং ওয়ার্ড প্রভাসনগর এলাকায় দিনে দুপুরে এমন ঘটনায চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল প্রভাসনগরে। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিল শ্রীরামপুর থানার পুলিশ।