Howrah: হাওড়া শিল্পাঞ্চলে লোহার দোকান থেকে লুঠ প্রায় কোটি টাকা
Howrah Police: হাওড়ার বেলিলিয়াস রোডে লোহার দোকানে দুষ্কৃতীদের হানা। প্রায় ১ কোটি টাকা লুঠ করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
সুনীত হালদার, হাওড়া: হাওড়ার (Howrah) বেলিলিয়াস রোড (Belilious Road) শিল্পাঞ্চলে (Industrial Area) দুঃসাহসিক ডাকাতি (Robbery)। একটি লোহার (Iron) সামগ্রী বিক্রির দোকানে ঢুকে প্রায় কোটি টাকা (Rupees One crore) লুঠ করে পালাল সশস্ত্র দুস্কৃতীরা (Criminals)।
পুলিশ সূত্রে খবর, আজ বেলা সাড়ে ১২টার সময় অ্যাপ নির্ভর ক্যাব ভাড়া করে আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা নিয়ে আসে তিনজনের একটি দুষ্কৃতী দল। তাদের মধ্যে দু’জন কারখানায় ঢুকে পড়ে। একজন দুষ্কৃতী নজরদারির জন্য দাঁড়িয়ে থাকে কারখানার গেটের সামনে। সেই সময় দোকানের মালিক একাই ছিলেন। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তাঁকে বেঁধে ফেলে অভিযুক্তরা। এরপর ড্রয়ারে রাখা প্রায় এক কোটি টাকা নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়েছে দুষ্কৃতীদের পালানোর ছবি। এই ঘটনায় ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ব্যাঁটরা থানার পুলিশ (Bantra Police Station)। হাওড়া শহরের সব থানাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে শুরু হয়েছে জোর তল্লাশি।
আরও পড়ুন বক্সিরহাটে রেশন ডিলারের বাড়িতে ডাকাতি
ব্যাঁটরা থানার পুলিশের পাশাপাশি হাওড়া সিটি পুলিশের (Howrah City Police) গোয়েন্দারাও নেমেছেন তদন্তে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, পেমেন্টের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা দোকানে আছে, তা জেনেই সম্ভবত হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। সেক্ষেত্রে দুষ্কৃতীদের কারও সঙ্গে দোকানের কোনও কর্মীর যোগাযোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে চেষ্টা চলছে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার।
দোকানের মালিক দিলীপ বর্মা জানিয়েছেন, ‘আমাকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বেঁধে টাকা লুঠ করে পালায়। একজনকে পেমেন্ট করার জন্য টাকা রাখা ছিল। সেটা নিয়েই ওরা পালিয়েছে। আমি কাউকে চিনতে পারিনি।’
কয়েকমাস আগে হাওড়ার বাঁকড়ায় ঘটেছিল টাকার ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনা। পুলিশ টাকা উদ্ধারের পাশাপাশি দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারও করতে পেরেছিল। ফের হাওড়ায় টাকা লুঠের ঘটনা ঘটল। দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেফতার করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা। পাশাপাশি টাকা উদ্ধার করার চেষ্টাও চালাচ্ছে পুলিশ। তদন্তের প্রয়োজনে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা।