WB HS Semester 3 Result : 'পশ্চিমবঙ্গে একটা স্কুল থেকে এটা রেকর্ড', মেধাতালিকায় ৬৯ জনের মধ্যে ৩১ জনই নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের
Narendrapur Ramakrishna Mission Vidyalaya : রেজাল্ট বেরনোর পর স্কুলের কৃতীদের ছবি-সম্বলিত একটি পোস্ট করা হয়েছে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের সোশাল মিডিয়া পেজে।

কলকাতা : নজরকাড়া সাফল্য নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের। উচ্চ মাধ্যমিক থার্ড সিমেস্টারের মেধাতালিকায় জায়গা করে নেওয়া ৬৯ জনের মধ্যে ৩১ জনই এই স্কুলের। স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত এখানকার ছাত্ররা। একইভাবে পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের ২৪ জন পড়ুয়াও জায়গা করে নিয়েছে মেধাতালিকায়। অর্থাৎ, ৬৯ জনের মধ্যে ৫৫ জনই এই দুই স্কুলের ছাত্র। যাদের সাফল্যের কথা আলাদা করে উঠে এসেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের গলাতেও।
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি বলেছেন, "দু'টি মাত্র স্কুল থেকে এত ভাল রেজাল্ট করেছে। তার মূল কারণ, তারা অনেক বেশি প্র্যাক্টিস করে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য। দু'টি মাত্র স্কুল থেকে এত ভাল রেজাল্ট করার মূল কারণ হচ্ছে, WBJEE, JEEMains, JEE Advance, NEET ইত্যাদির জন্য তারা পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেয়। প্রস্তুত করানো হয়। তার জন্যই আজ পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন...থেকে এতগুলো ব়্যাঙ্ক করছে। ৬৯-এর মধ্যে ৫৫ জনই হয়েছে এই দু'টি মাত্র রামকৃষ্ণ মিশন থেকে। তাদের অ্যাডভান্টেজ হয়ে গেছে, তারা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতিটা নিয়েছিল। কিন্তু, এই জিনিসটার কিছুটা পরিবর্তন হবে চতুর্থ সিমেস্টারে। যখন ওভারঅল রেজাল্ট বেরোবে। তখন কিন্তু ডেসক্রিপটিভ পার্ট থাকবে। যেটা কিন্তু WBJEE বা JEEMains-এর প্রস্তুতি দিয়ে হবে না।"
রেজাল্ট বেরনোর পর স্কুলের কৃতীদের ছবি-সম্বলিত একটি পোস্ট করা হয়েছে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের সোশাল মিডিয়া পেজে। সেই অনুযায়ী, উচ্চমাধ্যমিকের থার্ড সিমেস্টারে জায়গা করে নেওয়া ৩১ জনের মধ্যে- দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে- ৬ জন, তৃতীয় স্থানে ১ জন, চতুর্থ স্থানে ৪ জন, পঞ্চম স্থানে ১ জন, ষষ্ঠ স্থানে ৪ জন, সপ্তম স্থানে ৬ জন, নবম স্থানে ৩ জন এবং দশম স্থানে ৬ জন পড়ুয়া। রেজাল্ট বেরনোর পর স্কুলের বেশ কয়েকজন কৃতী নিজেদের ভবিষ্যতের লক্ষ্য শেয়ার করল এবিপি আনন্দর সঙ্গে।
এক ছাত্র বলে, "আমার সাফল্যের পিছনে প্রথম কৃতিত্ব দেব মা-বাবাকে। আমার বন্ধুদের, শিক্ষকদের। আমি যতক্ষণ পড়েছি, আমাকে খুব সাপোর্ট করেছেন তাঁরা। যখনই একটু হতাশ লেগেছে, তখনই সাহায্য করেছেন। ডাক্তার হতে চাই।" অপর এক কৃতী বলে, "এটা খুব বিরাট সাফল্য। পশ্চিমবঙ্গে একটা স্কুল থেকে এটা রেকর্ড। আমি ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই।"
অপর এক পড়ুয়ার কথায়, "আপাতত JEE-ওরিয়েন্টেড পড়াশোনায় রয়েছি। ইঞ্জিনিয়ারিং ফিল্ডে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। রিসার্চ বা এই জাতীয় ফিল্ডে...। চতুর্থ সিমেস্টারটা অন্যরকম একটা প্যাটার্ন। প্রস্তুতিটা অন্যরকমভাবে করতে হবে।" অপর এক পড়ুয়ার বক্তব্য, "খুবই আনন্দিত আমি। উচ্ছ্বসিত। এখনও কিন্তু পরীক্ষা শেষ হয়নি আমাদের। এইচএস আমরা এখনও পাস করিনি। এটা হাফ হয়েছে আমাদের যুদ্ধটা। এখনও আমাদের আর একটা বড় পরীক্ষা দিতে হবে। চতুর্থ সিমেস্টার। তার জন্য অবশ্যই ভালো করে প্রস্তুতি নিতে হবে।"






















