বাবরি মসজিদের জন্য টাকা দেওয়ার QR কোড নিয়ে জালিয়াতি ! নকল QR কোডে টাকা পাঠিয়ে ঠকছে মানুষ
এবার হুমায়ুন কবীরের 'বাবরি' মসজিদের ট্রাস্টের নাম করে এবার কিউ আর কোড জালিয়াতির অভিযোগ উঠল।

রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ : বাবরি মসজিদ নিয়ে নানারকম হুঙ্কার ছেড়ে চলেছেন হুমায়ুন কবীর। কিন্তু শুরুতেই কার্যত জোড়া ধাক্কা খেলেন হুমায়ুন কবীর। প্রথমে ধর্মগুরু নিয়ে । আর তারপর দেহরক্ষী নিয়ে । ভরতপুরের সাসপেন্ডেড তৃণমূল বিধায়কের জন্য হায়দরাবাদ থেকে ৮ জন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী আসার কথা ছিল। মঙ্গলবার তাঁর সঙ্গে চারজন নিরাপত্তারক্ষীকে দেখাও যায়। অথচ হুমায়ুন কবীর পরে জানতে পারেন, এই চারজন নিরাপত্তারক্ষীর কেউই হায়দরাবাদ থেকে আসেননি! এবার হুমায়ুন কবীরের 'বাবরি' মসজিদের ট্রাস্টের নাম করে এবার কিউ আর কোড জালিয়াতির অভিযোগ উঠল।
বহরমপুর সাইবার ক্রাইম থানায় এ নিয়ে অভিযোগও দায়ের হয়েছে। হুমায়ুন কবীরের সংস্থা ওয়েস্ট বেঙ্গল ইসলামিক ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়া-র কোষাধ্যক্ষ মহম্মদ আমিনুল শেখের দাবি, ৯ ডিসেম্বর থেকেই ট্রাস্টের তথ্য ডুপ্লিকেট করে নকল কিউআর কোড তৈরি করেছে ৩ ব্য়ক্তি। এই কিউ আর কোডের মাধ্যমেই জালিয়াতি চলছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বহরমপুর সাইবার ক্রাইম শাখার পুলিশ।
এর আগে ৬ ডিসেম্বর, হুমায়ুন কবীরের প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদের শিলান্যাস অনুষ্ঠানের মঞ্চে দুই ব্যক্তিকে দেখা যায়। পোশাক আশাক একেবারে আরব দুনিয়ার মানুষের মতো। দাবি করা হয়, এই দুজন সৌদি আরব থেকে এসেছেন! স্টেজ থেকে ঘোষণাও হয় তেমন করেই। কিন্তু সৌদি কই ! এরা নাকি লোকাল। কার্যত হুমায়ুনকে ঠকিয়ে, তাঁর কাছ থেকে টাকা নিয়ে, কেউ এই লোকদুটিকে সাজিয়ে নিয়ে এসেছে। বিষয়টি পরে প্রকাশ্যে আসতেই হুমায়ুনই এই কথা জানান সংবাদমাধ্যমকে।
আঙুল তোলেন তৃণমূলের সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর দিকে । বলেন, জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দের সেক্রেটারি মৌলানা ইউসুফ, ভরতপুরের বাসিন্দা, তিনিই হুমায়ুন কবীরকে প্রস্তাব দেন। বলেন, যে গুজরাতে সৌদি আরবের মৌলানারা আছে, গুজরাত থেকে এনে দেবেন। হুমায়ুনের সরাসরি দাবি, 'ওটাও এই সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর সংগঠনের থেকে আমার সাথে এই চক্রান্তটা করেছে, ব্লান্ডারটা। এসবের জবাব হুমায়ুন কবীর দিয়ে দেবে' ।
এরপরের ঘটনা দেহরক্ষী নিয়ে। মঙ্গলবার তাঁর সঙ্গে চারজন নিরাপত্তারক্ষীকে দেখাও যায়। অথচ হুমায়ুন কবীর পরে জানতে পারেন, এই চারজন নিরাপত্তারক্ষীর কেউই হায়দরাবাদ থেকে আসেননি! চরম অস্বস্তিতে পড়েন তিনি! এরপরই গোটা ঘটনার নেপথ্য়ে চক্রান্ত দেখতে পাচ্ছেন ভরতপুরের বিধায়ক। তিনি জানান, 'আমি ওদেরকে রিলিজ করে দিয়েছি। এসব নিয়ে অনেক চক্রান্ত চলছে। আমি সময় মতো মুখ খুলব। কাল যাঁরা আপনারা চারজনকে দেখালেন, ওরা সব স্থানীয়। যখন খোঁজ নিলাম, তাঁরা বলছে স্থানীয়। আমি বললাম স্থানীয় কাউকে রাখব না।'






















