Kolkata News: অসুস্থ ৩ অনশনকারী, এখনও সংঘাত কমার লক্ষণ নেই কলকাতা মেডিক্যালে
Hunger Protest At Medical College:অনশন ওঠার লক্ষণ নেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ডাক্তারি পড়ুয়াদের একাংশের। সঙ্গে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁদের সংঘাত মিটে যাওয়ারও কোনও আশু সঙ্কেত দেখা যাচ্ছে না।
ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: অনশন (hunger strike) ওঠার লক্ষণ নেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (KMC) ডাক্তারি পড়ুয়াদের (medical student) একাংশের। সঙ্গে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁদের সংঘাত মিটে যাওয়ারও কোনও আশু সঙ্কেত দেখা যাচ্ছে না। এদিকে অনশনকারী ৫ পড়ুয়ার মধ্যে তিন জনই অসুস্থ। এর পর হয়তো তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হতে পারে, আশঙ্কা চিকিৎসকদের।
কী পরিস্থিতি?
অনশনকারী ৫ সদস্যের মধ্যে এক জনের জ্বর। দ্বিতীয় জনের রক্তচাপ কম। আর এক জনের ব্লাড ক্যাপিলারি গ্লুকোজের মাত্রা কমে গিয়েছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই মাত্রা আরও কমতে থাকলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে তাঁদের। তবে এখনই অনশনকারীদের জোর করে হাসপাতালে ভর্তি করতে চান না তাঁরা। বরং তাঁদের যুক্তিবুদ্ধির উপরই আস্থা রাখা হচ্ছে। যদিও আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের দাবিদাওয়া না মানা পর্যন্ত অনশন প্রত্যাহারের প্রশ্ন ওঠে না।
দাবিদাওয়া প্রসঙ্গে....
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ অঞ্জন অধিকারীর দাবি, আলোচনার দরজা খোলা আছে। অন্য দিকে আন্দোলনকারীরাও নিজেদের দাবিতে অনড়। কী দাবি তাঁদের? আগামী ২২ ডিসেম্বর ছাত্র সংসদের নির্বাচন করাতে হবে। পড়ুয়াদের হেনস্থায় অভিযুক্ত অধ্যাপকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। গত ৬ ডিসেম্বর অবস্থান বিক্ষোভের দিন কেন সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরি বন্ধ ছিল, সেই 'ষড়যন্ত্রের' জবাব দিতে হবে। এই ৩ দফা দাবিতে কলকাতা মেডিক্যালে অনির্দষ্টকালের অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ৫ জন হবু চিকিৎসক। চিকিৎসক অধ্যাপক দেবাশিস বসু এদিন অনশনমঞ্চে গেলে তাঁর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বাদানুবাদ হয়। পড়ুয়ারা প্রশ্ন করেন, ৬ ডিসেম্বর আন্দোলনের সময় হাসপাতালের সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরি বন্ধ রাখার নির্দেশ কি আপনি দিয়েছিলেন? উত্তরে চিকিৎসক অধ্যাপক জানান এ বিষয়ে তাঁর কিছুই জানা নেই। কেন সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরি বন্ধ রাখা হয়েছিল, তার তদন্ত চলছে। তবে আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে ২২ ডিসেম্বর ছাত্র সংসদ ভোট করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এদিকে এর মধ্যেই অনশনকারীদের সঙ্গে এসে কথা বলে গিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব। জানিয়েছেন, প্রয়োজনে তাঁর চেম্বারে এসে কথা বলুন পড়ুয়ারা। কেন নির্দিষ্ট তারিখে ছাত্র সংসদ নির্বাচন সম্ভব নয়, অন্য কোন তারিখে তা করা যাবে, সেটা সেই আলোচনাতেই স্পষ্ট হবে বলে আশা প্রকাশ করে স্বাস্থ্যসচিব। অন্য দিকে, পড়ুয়ারা চাইছেন কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে সুনির্দিষ্ট কোনও আমন্ত্রণ আসুক যেখানে তাঁদের এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানোর কথা লেখা থাকবে। সেটা পেলেই এই বিষয়ে তাঁরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। সব মিলিয়ে এখনও ছবিটা খুব আশাব্যঞ্জক নয়। কবে উঠবে অনশন? জানা যাচ্ছে না সে কথাও।
আরও পড়ুন:অন্যায় হয়ে থাকলে প্রতিকারের চেষ্টা করছি, অতীত নয়, ভবিষ্যৎ দেখুন, টেট নিয়ে বার্তা ব্রাত্যর