IMA: সভাপতি পদের জন্য লড়াই নির্মল মাঝি ও প্রশান্ত ভট্টাচার্যের, আইএমএ-র নির্বাচনে ধুন্ধুমার
Nirmal Majhi: ভোটপর্ব শুরুর আগে থেকেই ভোটকেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন দু’ পক্ষের সমর্থকরা। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়।
কলকাতা: আইএমএ (IMA) কলকাতা (Kolakata) শাখার নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা। সকাল ১১টা থেকে তালতলায় আইএমএ-র (IMA) কলকাতা শাখা অফিসে শুরু হয়েছে ভোটদান। আইএমএ-র সভাপতি পদের জন্য লড়াই করছেন চিকিত্সক-বিধায়ক নির্মল মাঝি ও আরেক চিকিত্সক প্রশান্ত ভট্টাচার্য। ভোটপর্ব শুরুর আগে থেকেই ভোটকেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন দু’ পক্ষের সমর্থকরা। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। আইএমএ-র কলকাতা শাখার অফিসের সামনে মোতায়েন বিশাল পুলিশবাহিনী
উল্লেখ্য, IMA-র কলকাতা শাখার নির্বাচনে, সভাপতি পদে নির্মল মাজির বিরুদ্ধে মনোনয়ন দেন তৃণমূল ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত চিকিৎসক প্রশান্ত ভট্টাচার্য (Prashanta Bhattacharya)। প্রতিদ্বন্দ্বীকে 'বেইমান', 'গদ্দার' বলে কটাক্ষ করেন নির্মল মাজি (Nirmal Majhi)। তিন বারের বেশি কারও সভাপতি থাকা ঠিক নয়। পাল্টা বললেন তৃণমূল নেতার প্রতিদ্বন্দ্বী।
জেলায় জেলায় বিক্ষোভ। নেতাদের মধ্যে বাগযুদ্ধ। পুরভোটের প্রার্থী তালিকা নিয়ে যখন তৃণমূলের অন্দরের অসন্তোষ প্রকাশ্যে চলে এসেছে, তখন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা IMA-এর কলকাতা শাখার নির্বাচনেও সামনে চলে এল শাসকদলের দ্বন্দ্ব। সভাপতি পদে তৃণমূলের চিকিৎসক-নেতা নির্মল মাজির বিরুদ্ধে মনোনয়ন জমা দিলেন, তৃণমূল ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত চিকিৎসক প্রশান্ত ভট্টাচার্য।
উল্লেখ্য পরপর চারবার চিকিত্সক সংগঠন IMA-এর কলকাতা শাখার সভাপতি পদে নির্বাচিত হলেন নির্মল মাজি। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রশান্ত ভট্টাচার্যকে ৯ ভোটে হারিয়েছেন চিকিত্সক-বিধায়ক। IMA-এর সহ সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রদীপ ভিমানি ও অসীম সরকার। সম্পাদক পদে নির্বাচিত মানব নন্দী।
সহ সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন আসিফ ইকবাল, কৌশিক বিশ্বাস ও শিল্পা বসু রায়। বিরোধীপক্ষের আরেক প্রার্থী অনির্বাণ দলুই কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর জয়ের ব্যবধান ২৮টি ভোট। নির্মল মাঝি জানিয়েছেন, তাঁর পরের লক্ষ্য IMA-এর রাজ্য শাখা। যার সম্পাদক চিকিত্সক-সাংসদ শান্তনু সেন।
আইএমএ-র কলকাতা শাখার সভাপতি পদে প্রার্থী প্রশান্ত ভট্টাচার্য বলেন, আমি কংগ্রেস করেছি। তারপরে তৃণমূলের রাজনীতি করেছি। বিপরীতে যেই থাকুক না কেন, আমার মনে হয়েছে ভোটে লড়ার।