Puja Carnival: তৃণমূল নেতা ছাড়া অন্য দলের সাংসদ-বিধায়করা আমন্ত্রণ পাননি কার্নিভালে, অভিযোগ ঘিরে চাপানউতোর
Puja Carnival Controversy: পুজোর কার্নিভালে তৃণমূল নেতারা আমন্ত্রিত হলেও ডাক পাননি অন্য দলের সাংসদ, বিধায়করা। অভিযোগ তুলে শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হলেন বিরোধীরা।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য ও রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: পুজোর (durga puja) কার্নিভালে (carnival) তৃণমূল (TMC) নেতারা আমন্ত্রিত (invite) হলেও ডাক পাননি অন্য দলের সাংসদ (MP), বিধায়করা (MLA)। অভিযোগ তুলে শাসকদলের (TMC) বিরুদ্ধে সরব হলেন বিরোধীরা (opposition)। পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেনি তৃণমূল।
কী নিয়ে বিতর্ক?
শুক্রবার রাজ্য সরকারের তরফে জেলায় জেলায় পুজোর কার্নিভালের আয়োজন করা হয়। সেই কার্নিভালেই আমন্ত্রণ নিয়ে বিতর্ক ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। যেমন, কোচবিহারের বিশ্বসিংহ রোডে কার্নিভালে অংশ নেয় ৩০টি ক্লাব। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক জগদীশ বাসুনিয়া, কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ-সহ তৃণমূল নেতারা। কিন্তু বিজেপির কোনও নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, এই অভিযোগে ক্ষোভ উগরে দেন কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে। বলেছেন, 'তৃণমূলের রাজনৈতিক সৌজন্য নেই। কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে আমাদের ডাকা হয় না। আমরা ক্ষমতায় এলে কথা দিচ্ছি, তৃণমূল নেতাদের চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানাব।' অভিযোগ মানতে চায়নি জোড়াফুল শিবির। দলের রাজ্য সহ সভাপতি, এবং কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষের দাবি, কার্নিভালের কথা মাইকে অ্যানাউন্স হয়েছে। সকলে আমন্ত্রিত ছিলেন। ওদের কি বাড়ি গিয়ে চিঠি দিতে হবে নাকি? পাল্টা প্রশ্ন তাঁর। শনিবার মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে YMA মাঠের কার্নিভালেও বিরোধী কোনও দলের সাংসদ, বিধায়ককে দেখা যায়নি। রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে সেই নিয়েও।
মুর্শিদাবাদে কী ছবি?
গেরুয়া শিবিরের বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষের বক্তব্য, 'মুখ্যমন্ত্রী মুখে বলেন সর্বদল সর্বধর্ম সমন্বয়ের কথা। কিন্তু বিজেপির কোনও বিধায়ককে ডাকেনি। গোটা রাজ্যেই বিরোধীদের ডাকেননি। সরকারি খরচে তৃণমূলের প্রচার চালাচ্ছেন।' কটাক্ষ এসেছে মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর কাছ থেকেও। তাঁর কথায়, 'এখানে কার্নিভাল একটা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। কার্নিভাল কী সেটা বোধহয় তৃণমূল নেত্রী জানেন না।' এখানেও বিরোধী শিবিরের অভিযোগ মানতে চাননি তৃণমূলের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও সাংসদ খলিলুর রহমান। তাঁর যুক্তি, বিরোধিতা করা কাজ বলেই এঁরা তা করছেন। বাংলার মানুষ কার্নিভালে অংশগ্রহণ করে সাধুবাদ জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে পুজো কার্নিভালে আমন্ত্রণ বিতর্ক ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। উল্লেখ্য, এদিন রায়গঞ্জে পুজো কার্নিভাল চলাকালীন গরুর গাড়ি ফেলে ছুটল বলদ। উন্মত্ত বলদের গুঁতোয় মৃত্যু হল ১ জনের।
আরও পড়ুন:'খুনের ব্লু-প্রিন্ট বান্ধবীর মায়ের, দেহ লোপাটের ছক বাবার'