Jadavpur University : যাদবপুরে যুব মোর্চা কর্মীদের জুতো প্রদর্শন, বিজেপির অন্দরেই সমালোচনার সুর, তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি
BJP : শুক্রবারের অশান্তিতে গ্রেফতার হওয়া এবিভিপির ৬৩ জন নেতা ও কর্মীকে এদিন আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। প্রত্যেকের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।
সুদীপ্ত আচার্য, অনির্বাণ বিশ্বাস ও উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে (Jadavpur University) লক্ষ্য করে বিজেপির যুব মোর্চা কর্মীদের জুতো প্রদর্শন ! এবিভিপির (ABVP) জমায়েতে গোলি মারো স্লোগান ! এই দুই ঘটনা ঘিরে রাজ্য-রাজনীতি সরগরম ! বিষয়টি নিয়ে গেরুয়া ব্রিগেডের কড়া সমালোচনা করছে বিরোধীরা। জুতো প্রদর্শনের বিষয়টি নিয়ে বিজেপির অন্দর থেকেই উঠে এসেছে সমালোচনার সুর।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচানোর ডাক দিয়ে কর্মসূচি ! তা নিয়েই প্রবল বিতর্কের রেশ ! একদিকে, এবিভিপির কর্মসূচি থেকে ওঠে গোলি মারো স্লোগান ! অন্যদিকে, বিজেপির যুব মোর্চার মিছিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় লক্ষ্য করে দেখানো হয় জুতো ! এই দুটি ঘটনাকেই কেন্দ্র করে তেতে উঠেছে রাজ্য-রাজনীতি। কড়া সমালোচনায় সরব হয়েছে তৃণমূল (TMC)। তৃণমূল বিধায়ক চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন, 'এই তো কালচার ওদের।'
শুক্রবার বিকেলে গোলপার্ক থেকে যাদবপুর এইট বি পর্যন্ত মিছিল করে বিজেপির যুব মোর্চা। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), অগ্নিমিত্রা পাল-সহ বিজেপি নেতা-নেত্রীরা তাতে পা মেলান। মিছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নম্বর গেটের কাছে পৌঁছতেই তেতে ওঠে পরিস্থিতি। বিজেপির যুব মোর্চার কর্মীরা ক্যাম্পাস লক্ষ্য করে জুতো দেখান। এমনকি, জলের বোতল পর্যন্ত ছোড়ার অভিযোগ ওঠে।
এই নিয়ে প্রবল বিতর্কের আবহে আত্মসমালোচনার সুর উঠে এসেছে রাজ্য বিজেপির অন্দর থেকেই। রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya) বলেছেন, 'ইউনিভার্সিটিকে কেউ জুতো দেখাবেন, এটা কোনও সুস্থ স্বাভাবিক, কোনও রাজনৈতিক দল, আমরা হোক আর যারাই হোক, এটা সমর্থন করবে না। বিচ্ছিন্নভাবে কে কোথায় জুতো দেখিয়েছে সেটা আমার জানা নেই। তবে এ ধরনের কোনও এজেন্ডা, এ ধরনের কোনও রাজনৈতিক অবস্থান কিম্বা এ ধরনের কোনও মনস্তত্ত্ব আমাদের দলে নেই। অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। ভবিষ্যতে তারা আমাদের মিছিলে আসবে না।'
এদিকে, শুক্রবার অনুমতি না থাকার যুক্তিতে পুলিশ, আরএসএস (RSS)-এর ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদকে মিছিল করতে দেয়নি। তা নিয়ে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয় গোলপার্ক এবং যাদবপুর থানা চত্বরে। এরই মধ্যে এবিভিপির জমায়েতে শোনা যায় গোলি মারো স্লোগান। স্বাভাবিকভাবেই এই নিয়ে তীব্র বিতর্ক দানা বেধেছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে বিষাক্ত করে তুলে, যে কথা একদিন ভারতবর্ষের মন্ত্রী বলেছিল, গোলি মারো...সেই ডায়লগ চলে আসছে পশ্চিমবঙ্গে, বিজেপির হাত ধরে, কলকাতার বুকে। তাহলে আগামী দিনে বিজেপি সম্পর্কে এখানকার মানুষের সাবধান হওয়া কেন জরুরি, আপনারা বুঝতে পারছেন'।
এদিকে, শুক্রবারের অশান্তিতে গ্রেফতার হওয়া এবিভিপির (ABVP) ৬৩ জন নেতা ও কর্মীকে এদিন আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। প্রত্যেকের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।
আরও পড়ুন- মোবাইল-ইন্টারনেট আসক্তি ? চিকিৎসায় নতুন ক্লিনিক ইন্সটিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সেসে
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন