JU Student Death : যাদবপুরের যাবতীয় আন্দোলনের নিয়ন্ত্রণ হয় বাইরে থেকে, দাবি হোক কলরব আন্দোলন করা ত্রিপর্ণার
Triparna De Sarkar : ত্রিপর্ণার দাবি, যাদবপুরের যাবতীয় আন্দোলনের নিয়ন্ত্রণ হয় বাইরে থেকে।
শিবাশিস মৌলিক, উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, অরিন্দম সেন, কলকাতা : ত্রিপর্ণা দে সরকার। একসময় তিনি ছিলেন হোক কলরব আন্দোলনের অন্যতম মুখ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ( Jadavpur University ) ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ঘিরে তৈরি হওয়া, দেশ কাঁপানো 'হোক কলরব' ( Hok Kolorab ) আন্দোলনের প্রথম সারিতে ছিলেন তিনি। পথে নেমেছেন ক্যাম্পাসে শ্লীলতাহানি, র্যাগিংয়ের মতো ঘটনার প্রতিবাদে। বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে র্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠা এবং তাকে ঘিরে জমাট বাঁধতে শুরু হওয়া আন্দোলন নিয়ে বিস্ফোরক, সেই ত্রিপর্ণা দে সরকারই। কার্যত বোধোদয়ের সুরে, তাঁর এখন নতুন উপলব্ধি!
যাদবপুরের আন্দোলনের নিয়ন্ত্রণ থাকে বাইরে থেকেই : ত্রিপর্ণা
তিনি শুক্রবার জানালেন, যাদবপুরের যাবতীয় আন্দোলনের নিয়ন্ত্রণ হয় বাইরে থেকে। ত্রিপর্ণার ( Triparna De Sarkar ) বিস্ফোরক দাবি, 'হোক কলরব থেকে হোক চুম্বন, যাদবপুরের আন্দোলনের নিয়ন্ত্রণ থাকে বাইরে থেকেই। দীর্ঘদিন থেকে যাঁরা র্যাগিংয়ে অভিযুক্ত এরকম অনেকেই এখন সরকারি নিরাপত্তা নিয়ে সরকারি পদে বসে।'
তিনি আরও বলেন, 'যাদবপুরের আন্দোলন আসলে কোন উত্তরপাড়া থেকে, কোন বেলঘরিয়া থেকে, কোন পার্টি অফিস থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়, সেটাই জানার দরকার আর কী। যাঁরা তথাকথিত স্বাধীন বলে নিজেদেরকে দাবি করেছেন, তাঁরাই সবথেকে অর্গানাইজডভাবে ক্রাইমটা করে গেছেন যাদবপুর ক্যাম্পাসে। সেটা ক্যাম্পাসের মধ্যে হোক, হস্টেলের মধ্যে হোক। যখনই আমরা এখানে কালেক্টিভভাবে, যখনই আমরা সব ছাত্রছাত্রীরা মিলে আন্দোলন করতে এসেছি, তখনও তাঁদেরই ডমিনেশন দেখা গেছে আমাদের ওপর।'
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হোক কলরব আন্দোলনের সময় AISA-র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ত্রিপর্ণা। বর্তমানে বিজেপির যুব মোর্চার সঙ্গে যুক্ত। তাই এসএফআই নেতার তীর্যক মন্তব্য, 'বারবার যে দলবদল করে তার কথার কী মূল্য আছে। আমরা ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতাম। আর আজ এসব কথা বলে কী লাভ?'
আরো পড়ুন :
সাতসকালে প্ল্যাটফর্মে ঢুকতেই ট্রেনে আগুন ! গলগল করে ধোঁয়া AC কামরা থেকে
এদিকে শনিবার, যাদবপুরকাণ্ডে বিস্ফোরক তথ্য এসছে পুলিশের হাতে। তদন্তে পুলিশ নিশ্চিত, গাফিলতির দায় এড়াতে পারেন না ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায় ও হস্টেল সুপার। সূত্রের খবর, ঘটনার দিন ডিনকে ফোন করার পর লেখানো হয় চিঠি। এরপর নদিয়া থেকে আসা পড়ুয়ার ওপর শুরু হয় অত্যাচার। ফোন পেয়েও কেন আসেননি কেউ? কী করছিল কর্তৃপক্ষ? উঠছে প্রশ্ন। সূত্রের খবর, পুলিশের কাছে হস্টেল সুপার দাবি করেন, যে ছাত্র ডিনকে ফোন করেছিল, সেই সত্যব্রত রায় দুর্ব্যবহার করত, ডিনের কাছে তার নাম শুনেই আর ওপরে ওঠেননি। তিন ও চারতলায় ঘটনা ঘটলেও, ডিনের ফোন পেয়ে একতলা থেকেই ঘুরে চলে যান বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন হস্টেল সুপার। ওইদিন ফোন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিন বা হস্টেল সুপার সক্রিয় হলে ছাত্রের এমন মর্মান্তিক পরিণতি আটকানো যেত বলে মনে করছে পুুলিশ।