Jadavpur University: ছাত্রমৃত্যুর প্রতিবাদে শুভেন্দুর সভার পর ফের রণক্ষেত্র যাদবপুর
বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ অতিবামপন্থী সংগঠনের। আমরা নয়, এসএফআইয়ের ছেলেরা মেরেছে, দাবি করে বিজেপি।
কলকাতা: মৃত ছাত্রের বাবার আবেদনই সার, যাদবপুর আছে যাদবপুরেই। ছাত্রমৃত্যুর প্রতিবাদে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভার পর ফের রণক্ষেত্র যাদবপুর। সভা থেকে বাম-অতিবামকে নিশানা শুভেন্দুর, প্রতিবাদে দেখানো হয় কালো পতাকাও। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) সামনেই সংঘর্ষ-রক্তারক্তি। ক্যাম্পাসের বাইরে বিজেপি (BJP)- আরএসএফ (RSF) সংঘর্ষে মুখ ফাটল এক আন্দোলনকারীর। যাদবপুরে প্রতিবাদ সভার পর যাওয়ার সময়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা বাঁধে শুভেন্দু অধিকারীর। শুভেন্দু অধিকারীর গাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে অতিবাম সংগঠনের বিরুদ্ধে।
বিজেপি ও অতিবামপন্থী সংগঠনের সংঘর্ষ: গতকাল থেকেই দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। আজ শুভেন্দু অধিকারীর সভার আগে এবং পরেও একই ছবি দেখা গেল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেই বিজেপি ও অতিবামপন্থী সংগঠনের সংঘর্ষ বেধে যায় এ দিন। দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তোলে অতিবামপন্থী সংগঠন। আমরা নয়, এসএফআইয়ের ছেলেরা মেরেছে, দাবি করে বিজেপি।
গাড়ি লক্ষ্য করে কালো পতাকা: বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রথমে বিজেপির যুব মোর্চার সভার সভা থেকে হুঙ্কার দেন শুভেন্দু অধিকারী। এর পরই যাদবপুরের এইটবি বাসস্ট্যান্ডের দিকে এগোচ্ছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেখানে পুলিশের সঙ্গে তাঁর বচসা বাধে। এর পর যখন শুভেন্দু অধিকারী গাড়ি ঘুরিয়ে যাদবপুর থানার দিকে এগোচ্ছেন, সেই সময় ৪ নম্বর গেটের সামনে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে কালো পতাকা দেখান কয়েকজন। সঙ্গে সঙ্গে শুভেন্দু-র কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তারক্ষীরা নেমে এসে তাঁদের ওপর লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ।
কী বললেন বিরোধী দলনেতা: এ দিন সভামঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'সৌরভ চৌধুরীরা বাংলা পক্ষের লোক। এরা মমতা ব্যানার্জির পে রোলে আছেন। যে পার্টি কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে ফেলে দিয়েছে, উপড়ে ফেলে দিয়েছে..আমরাও এখান থেকে এই তথাকথিত টুকরে টকরে গ্যাং, দেশবিরোধী শক্তি, ইনকিলাবি নাড়া, চিন যাদের বাপ আর মা, মমতা ব্যানার্জি যার গার্ডিয়ান তাঁদেরকে তুলে ফেলব। এ দায়িত্ব আমাদের'।
এ দিন শুভেন্দুর সভা শেষ হতেই ফের ধুন্ধুমার বেধে যায়: এই অশান্তি-র আবহেই হঠাৎ এই যুবকের সঙ্গে কয়েকজনের মারামারি বাধে! বিজেপি এবং যুব মোর্চার সদস্যদের লাথি, ঘুষিতে মাটিতে পড়ে যান ওই যুবক। তাঁর নাক-মুখ ফেটে গলগল করে রক্ত পড়তে শুরু করে ।