Jadavpur University Student Death:হস্টেলে আইনের শাসন নেই, মানলেন ডিন অফ স্টুডেন্টস, দাবি পুলিশ সূত্রে
Dean Of Students Rajat Ray:হস্টেলে কোনও আইনের শাসন নেই, মানলেন ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়! ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ স্টুডেন্টসকে এদিন লালবাজারে তলব করা হয়েছিল।
ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: হস্টেলে কোনও আইনের শাসন নেই, মানলেন ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায় (Dean Of Students Rajat Ray)! ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University Student Death) ডিন অফ স্টুডেন্টসকে এদিন লালবাজারে (Lalbazar) তলব করা হয়েছিল। প্রায় ৩ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদে হস্টেলে নিয়ন্ত্রণ না থাকার কথা কবুল করেছেন তিনি, এমনই দাবি সূত্রে। রজত রায় বলেন, 'ছাত্রদের প্রতিরোধের মুখে বিধি কার্যকর করা কঠিন।' সূত্রের খবর, গোয়েন্দাদের তরফে আরও জানতে চাওয়া হয়েছিল, 'অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি রয়েছে কি? সুপারের ভূমিকা ঠিক কী? সিসি ক্যামেরা কেন নেই? নেপথ্যে কাদের নির্দেশ ছিল?' উত্তরে তিনি বলেছেন, 'অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি রয়েছে, তবে কয়েকটি।'
আর কী?
সূত্রের খবর, গত ৯ আগস্ট, রাত ১০টা ৫ মিনিটে হস্টেল থেকে ছাত্রের ফোন নিয়েও খুঁটিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে রজত রায়কে। জানতে চাওয়া হয়েছে, ওই ফোন পাওয়ার পর ডিন অফ স্টুডেন্টস ঠিক কী পদক্ষেপ করেছিলেন? ঘটনা হল, পড়ুয়ার মর্মান্তিক পরিণতি ঘিরে একের পর এক প্রশ্ন উঠে এসেছে যার উত্তর নানা সূত্র থেকে জোগাড়ের চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্রেই এদিন বেলা ৩টে ১০ মিনিট নাগাদ লালবাজারে এসে পৌঁছন ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়। তবে লালবাজারে ঢোকার আগে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। যদিও যাদবপুর থানায় যখন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তখন জানিয়েছিলেন ঘটনার দিন, রাত ১০টা ৫ মিনিট নাগাদ তাঁর কাছে একটি অজানা নম্বর থেকে ফোন আসে। সেই ফোনে দাবি করা হয়েছিল, একজন ছাত্র অস্বাভাবিক আচরণ করছে। এর পরই হস্টেলের সুপারকে ফোন করেছিলেন তিনি। 'ট্রুকলার' অ্যাপে ফোন নম্বরটি কার দেখে নিয়ে হস্টেল সুপারের কাছে রজত রায় জানতে চান, ওই নামে কোনও ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন কিনা। তাতে হস্টেল সুপার জানিয়েছিলেন, ওই নামে এক পড়ুয়া রয়েছেন। তার পর ১২টা ৮ মিনিটে সুপারের সঙ্গে ফের কথা হয় ডিন অফ স্টুডেন্টসের। তখন রজত রায় জানতে পারেন, হস্টেলের তলায় রক্তাক্ত অবস্থায় এক ছাত্রকে পাওয়া গিয়েছে। তাঁকে কেপিসি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানতে পারেন রজতবাবু। তাঁর দাবি, এর পর রাত ১২টা ২৫ মিনিট নাগাদ, তিনি সশরীরে কেপিসি মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তার পর তিনি হাসপাতালেই ছিলেন।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, রাত ১০টা ৫ মিনিটে যখন তাঁর কাছে প্রথম ফোনটি এসেছিল, তার পর ঠিক কী করেছিলেন ডিন অফ স্টুডেন্টস? আরও আগেই কি সজাগ হওয়া যেত না? প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুন:'বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে হিসেব বুঝে নেব', ছাত্রে মৃত্যুতে তৃণমূলকে নিশানা শুভেন্দুর