Jadavpur University : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে-বাইরে আন্দোলনের আঁচ, রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে তপ্ত রাজ্য রাজনীতি
TMCP : হাতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা নিয়ে, রাজন্যা হালদাররা একে একে ঢুকে যান অরবিন্দ ভবনে ক্যাম্পাসে সিসিটিভি (CCTV Camera) বসানো-সহ একাধিক দাবি জানিয়ে ১০ মিনিট পরে তাঁরা বেরিয়ে আসেন।
সৌমিত্র রায়, শিবাশিস মৌলিক ও বিটন চক্রবর্তী, কলকাতা : ছাত্র মৃত্যুর প্রতিবাদে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ভিতরে-বাইরে আন্দোলনের আঁচ। ক্যাম্পাসে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে টিএমসিপির (TMCP) স্লোগান যুদ্ধ। বাইরে বিজেপির যুব মোর্চার অবস্থান বিক্ষোভ। এভাবেই দিনভর তেতে রইল যাদবপুর। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন বিভিন্ন দলের নেতা-নেত্রীরা।
ক্যাম্পাস উত্তাল। ক্যাম্পাসের বাইরেও শোরগোল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের মৃত্যুকে ঘিরে এভাবেই ঘনাচ্ছে রাজনীতির মেঘ ! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার মৃত্যুর প্রতিবাদে শনিবার অরবিন্দ ভবনের (Arabinda Bhavan) সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন এসএফআই (SFI) ও আইসার (AISA) সমর্থকরা। বিকেলে কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি দিতে পৌঁছয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (TMCP)। দু-পক্ষের মধ্যে কিছুটা ব্যবধান থাকলেও, ততক্ষণে টগবগ করে ফুটতে শুরু করে উত্তাপের পারদ।
গত বুধবার এখানেই টিএমসিপির সঙ্গে ডিএসও এবং এসএফআই-এর গোলমালে অশান্তি পেকেছিল। এদিন তেমন পরিস্থিতি তৈরি না হলেও, স্লোগান-শাউটিং বন্ধ হয়নি। তারই মধ্যে হাতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা নিয়ে, রাজন্যা হালদাররা একে একে ঢুকে যান অরবিন্দ ভবনে ক্যাম্পাসে সিসিটিভি (CCTV Camera) বসানো-সহ একাধিক দাবি জানিয়ে ১০ মিনিট পরে তাঁরা বেরিয়ে আসেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএমসিপির নবনিযুক্ত ইউনিট সভানেত্রী রাজন্যা হালদারের খোঁচা, 'ওদের (এসএফআই) সহবত, সংবেদনশীলতা শেখাতে এসেছি।' পাল্টা এসএফআইয়ের (SFI) সমর্থকের পাল্টা, 'ওরা কী বলছে, ওদের লোকের চেয়ে বেশি ঝাণ্ডা রয়েছে।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে যখন এই ছবি, তখন বাইরে বিক্ষোভ-অবস্থান বসেছিল বিজেপির যুব মোর্চা (BJP Yuva Morcha)। বৃহস্পতিবারের গোলমালের পরে, শুক্রবার তাদের মঞ্চ খুলে দেয় পুলিশ। ফলে এদিন রাস্তায় বসেই বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'কর্তৃপক্ষ কোনওদিন সচেতন হবে না। সচেতন হয়েছিলেন অভিজিৎ বাবু, তাঁকে ঘাড়ধাক্কা মেরে পার্থ তাড়িয়েছে। চোর পার্থ। আর মমতা ব্যানার্জি নিজে গিয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অভিজিৎবাবুর উৎখাতে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রী যদি, তার কর্তৃপক্ষকে নিধিরাম সর্দার করে রাখতে চান, আর যিনি মহামান্য বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুরের জাজমেন্ট ইমপ্লিমেন্ট করতে চেয়েছিলেন, তাঁকে গিয়ে ঘাড়ধাক্কা মেরে মুখ্যমন্ত্রী, তার চোর শিক্ষামন্ত্রীকে দিয়ে তাড়ান। সেক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ যেমন চাইছে, তেমন হবে।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন