Suvendu Adhikari: মালবাজারের হড়পা বানকাণ্ডে 'উদ্ধার প্রক্রিয়া' নিয়ে কী অনুরোধ শুভেন্দুর ?
Suvendu on Harpa Ban : মালবাজারের মাল নদীতে হড়পা বানের ঘটনায় জলপাইগুড়ির জেলাশাসক ও রাজ্যের মুখ্যসচিবকে কী অনুরোধ শুভেন্দুর ?
কলকাতা: প্রতিমা বিসর্জনের সময় হঠাৎই জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) মালবাজারের মাল নদীতে হড়পা বান ( Harpa Ban incident)। জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে এখনও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ আরও অনেকে। আশঙ্কা, আরও বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা। এই ঘটনার পর শোকপ্রকাশ করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদি। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় টুইট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)।
Saddening news coming from Jalpaiguri as flash flood in Mal river during Durga Puja immersion swept away many people. Few deaths have been reported till now.
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) October 5, 2022
I request the DM of Jalpaiguri & @chief_west to urgently step up rescue efforts & provide assistance to those in distress. pic.twitter.com/4dZdm2WlLO
কী বললেন শুভেন্দু ?
শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে, বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। আমি জলপাইগুড়ির জেলাশাসক ও রাজ্যের মুখ্যসচিবকে উদ্ধার প্রক্রিয়া জোরদার করা ও দুর্দশাগ্রস্থদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি।' স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, মৃতদের মধ্যে ১০ বছরের এক বালিকা রয়েছে। গতকাল মাঝরাত পর্যন্ত চলে উদ্ধারকাজ। তারপর প্রবল বৃষ্টির জেরে উদ্ধারকাজ সাময়িক বন্ধ হয়। আজ সকালে নদীর বিভিন্ন অংশে চালানো হবে তল্লাশি। পুলিশ সূত্রে খবর, ৭০টি প্রতিমা বিসর্জনের জন্য আনা হয়েছিল। তার মধ্যে ২৫ থেকে ৩০টি প্রতিমা বিসর্জনের পরই বিপর্যয় ঘটে। জলপাইগুড়ির মাল নদীতে গতকাল প্রতিমা বিসর্জনের সময় ৮ জন সিভিল ডিফেন্সের কর্মী ছিলেন ঘটনাস্থলে। সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মী জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে দড়ি ছাড়া কিছু ছিল না। বিপর্যয় যখন ঘটে, তখন যদি সিভিল ডিফেন্সের আরও কর্মী থাকতেন, তাহলে দ্রুত উদ্ধারকাজ করা যেত বলে তাঁর দাবি।
আরও পড়ুন, মাল নদীর হড়পা বানে এখনও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু, রাতভর উদ্ধারকার্যের পর সকালেও তল্লাশি
কয়েকদিন আগেই এই নদীতে হড়পা বান হয়, তারপরও কেন বিসর্জনের সময় বাড়তি প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি ?
এই বিপর্যয় নিয়ে স্থানীয় সূত্রে একটা সম্ভাবনার কথাও বলা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে দাবি, নদীখাতে আগেই বোল্ডার ফেলা হয়েছিল, যাতে, যেদিকে বিসর্জন হবে, সেদিকে বেশি জল থাকে। হড়পা বানের সময় তা হিতে বিপরীত হয়েছে। যেখানে বিসর্জন হচ্ছিল, সেদিকেই প্রবল স্ত্রোত এসে সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। কয়েকদিন আগেই এই নদীতে হড়পা বান হয়। তারপরও কেন বিসর্জনের সময় বাড়তি প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি, সেই প্রশ্ন উঠছে।