Jhargram News: 'ডাইনি' সন্দেহে বৃদ্ধাকে 'খুন' ! অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা আদালতের
Court on Jhargram Murder Case: ডাইনি সন্দেহে বৃদ্ধা মহিলাকে গলা কেটে খুনের ঘটনায় এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা করল ঝাড়গ্রাম জেলা আদালত।
অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম: ডাইনি সন্দেহে বৃদ্ধা মহিলাকে গলা কেটে খুনের (Murder case) ঘটনায় এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা করল ঝাড়গ্রাম জেলা আদালত (Jhargram District Court)। মূলত, ডিজিট্যালের যুগেও যে, কুসংস্কার আর অন্ধত্ব যে কত মানুষের প্রাণ পর্যন্ত কেড়ে নিতে পারে, তার জ্বলন্ত উদাহরণ ঝাড়গ্রামের (Jhargram) এই ঘটনা। যদিও শেষঅবধি 'বিচার' পেল নিহতের পরিবার।
সচেতনার আলো তখনও পৌঁছায়নি গ্রামে। সালটা ২০১৭ সাল। ওই বছর ফেব্রুয়ারি মাসের ৯ তারিখ ঘটে গিয়েছিল এক মর্মান্তিক ঘটনা। ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের নয়াগাতে রাধাকান্ত বেরা নামে এক ব্যক্তি ডাইনি সন্দেহে পাশের বাড়ির তরুবালা বেরাকে জোর করে টানতে টানতে গ্রামের শিবমন্দিরে নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দেহ থেকে গলা আলাদা করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
এরপরে মৃতার মেয়ে আরতি বেরার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে সাঁকরাইল থানার পুলিশ।উদ্ধার করা হয় অস্ত্র। রাধাকান্ত-সহ মোট ৪ জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলার কেস রুজু করা হয়।প্রায় ৬ বছর ধরে বিচার চলে। মোট ১৯ জন স্বাক্ষী দেয়। সাঁকরাইল থানার পুলিশ খুব দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত করে।
এদিকে, ২০১৭ সালের ২৬ এপ্রিল অর্থাৎ ঘটনার ২ মাসের মাথায় উপযুক্ত প্রমাণ না পাওয়ার ফলে অভিযুক্ত ৪ জনের মধ্যে ৩ জনকে নির্দোষ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু মূল অভিযুক্ত রাধাকান্ত বেরার মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন ঝাড়গ্রাম আদালতের ফার্স্ট কোর্টের বিচারক। তবে শুধুই ২০১৭ সাল নয়, ২০২৩ সালেও এমন ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে বীরভূম জেলাতেও।
এক-আধ দিন নয়, দীর্ঘ তিন বছর গ্রামছাড়া। পড়াশোনা লাটে উঠেছে সন্তানদের, রাস্তায় ভবঘুরেদের মতো দিন কাটাতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এবার থালা-বাসন নিয়ে বোলপুর (Bolpur) মহকুমা শাসকের ঘরের বাইরে ধর্নায় বসলেন 'ডাইনি' (Witch) অপবাদে গ্রামছাড়া পরিবারের সদস্যরা। তিন বছর ধরে তিনটি পরিবারের ১২ জন সদস্য গ্রামছাড়া।
আরও পড়ুন, প্রবল গ্রীষ্ম বাড়ায় অ্যাজ়মার প্রবণতা, তীব্র হয় কষ্ট, কীভাবে বাঁচবেন
আরও পড়ুন, সবুজ পাতাজাতীয় সবজি Kale-র পুষ্টিগুণ, কী কী সমস্যার সমাধান করে?
বোলপুর থানার সিয়ান-মুলুক গ্রাম পঞ্চায়েতের মণিকুণ্ডু পাড়া আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম। ২০২০ সালে ওই গ্রামে কুকুরের কামড়ে মৃত্যু হয়েছিল এক যুবকের ৷ আক্রান্ত হয়েছিলেন আরও কয়েকজন ৷ এরপরেই গ্রামের তিনটি পরিবারের উপর সন্দেহ যায় বাকিদের ৷ বসেছিল সালিশি সভা ৷ সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তিনটি পরিবারকে গ্রামছাড়া করা হবে। অভিযোগ, এরপরই ডাইনি অপবাদ দিয়ে ওই তিনটি পরিবারকে মারধর করে গ্রামছাড়া করা হয়।