Junior Doctors Hunger Strike: শারীরিক অবস্থার অবনতি, জ্ঞান হারালেন; গ্রিন চ্যানেল করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তনয়া পাঁজাকে !
Junior Doctor Fell Unconscious: এদিন সকালবেলা থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। তাঁকে বারংবার মেডিক্যাল টিম বলে এখান থেকে তাঁকে নিয়ে যেতে হবে।
কলকাতা : অনিকেত মাহাতো, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্য়ায়, পুলস্ত্য় আচার্য্য়, আলোক ভার্মার পর এবার তনয়া পাঁজা। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন আরও এক অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তার। ধর্মতলার অনশন মঞ্চে ৯ দিন ধরে অনশন করছেন কলকাতা মেডিক্য়ালের ইএনটি বিভাগের সিনিয়র রেসি়ডেন্ট তনয়া পাঁজা। অনশন মঞ্চেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলায় সোমবার সন্ধ্যায় তাঁকে কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজে ভর্তি করা হল। একটানা অনশনের ফলে তনয়ার রক্তে শর্করার পরিমাণ ৫৮-তে নেমে গেছে। শরীরে কিটোনের মাত্রা ৩। সকাল থেকেই তলপেটে ব্য়থা এবং মাথা ঘোরানোর উপসর্গ ছিল তাঁর। ডিহাইড্রেশনও দেখা দিয়েছিল।
তনয়া পাঁজা। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ENT বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট। তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে গ্রিন চ্যালেন করে নিয়ে যাওয়া হয়। অনশনরত অবস্থায় তিনি জ্ঞান হারান। এদিন সকালবেলা থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। তাঁকে বারংবার মেডিক্যাল টিম বলে এখান থেকে তাঁকে নিয়ে যেতে হবে। হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু, তিনি একেবারেই রাজি হচ্ছিলেন না। আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁর যাঁরা সতীর্থ রয়েছেন, সেই সহযোদ্ধাদের সঙ্গেই থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, সন্ধের দিকে তিনি সংজ্ঞা হারান। তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ গ্রিন চ্যানেল করে দেয়।
ধর্মতলা থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতাল, দশ দফা দাবি নিয়ে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এরইমধ্য়ে লাগাতার অনশনের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়লেন আরও এক আন্দোলনকারী।
অনিকেত মাহাতো, আলোক ভার্মা, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়ের পর, শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রবিবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় জুনিয়র চিকিৎসক পুলস্ত্য আচার্যকে। আর সোমবার সকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন আরেক অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসক তনয়া পাঁজাও। তবে তিনি তখনও অনশন চালিয়ে যান !
NRS মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অ্যানাস্থেসিয়া বিভাগের প্রথম বর্ষের পিজিটি পুলস্ত্য আচার্য। রবিবার রাতে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায় তাঁর। পাশাপাশি পেটে ব্য়াথা, বমিভাব, ইউরিন সংক্রান্ত একাধিক সমস্য়ার জন্য় তাঁকে ভর্তি করা হয় NRS মেডিক্যালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর অবস্থা অনেকটাই স্থিতিশীল, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। তবে সঙ্কট কাটেনি। সকালে রুটিন চেকআপের সময় দেখা যায়, কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজের ENT বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট ডক্টর তনয়া পাঁজারও শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। রুটিন পরীক্ষায় দেখা যায়, তাঁর ইউরিনে যে পরিমাণ কিটোন বডি রয়েছে তা অত্য়ন্ত উদ্বেগজনক। চিকিৎসকদের মতে, স্বাভাবিক অবস্থায় যেখানে শরীরে কিটোন বডির মাত্রা হওয়া উচিত শূন্য়। সেখানে তাঁর শরীরে কিটোন বডি পাওয়া যায় ৩ প্লাস। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে চান চিকিৎসকরা। কিন্তু, অনশন ভাঙার প্রশ্নে সরাসরি না বলে দেন তিনি। এবার অবশ্য তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা মেডিক্যালে।