Justice Abhijit Gangopadhyay: 'আমার কোনও অভিযোগ নেই' পুলিশের ঢালাও প্রশংসা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের
'পুলিশের বিরুদ্ধে আমার কোনও অভিযোগ নেই। আপনাদের কাজ না করতে দিলে আপনারা আর কী করবেন?' বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
পুলিশের প্রশংসা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ( Justice Abhijit Ganguly ) মুখে। 'পুলিশ খুব ভালো কাজ করছে' বলেও মন্তব্য করেন তিনি। পুলিশকে নির্বিঘ্নে কাজ করতে দিলে সাধারণ আইনশৃঙ্খলার কোনও সমস্যা থাকে না বলেও জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
ভুয়ো ডিরেক্টর নিয়োগ মামলায়, পুলিশের ভূমিকা প্রসঙ্গে শুক্রবার এমনই মন্তব্য় করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
সারদার মতো ফের ভুয়ো ডিরেক্টর নিয়োগের অভিযোগ, প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা না পেয়ে DELTA LIMITED ও OLISA REALITY PRIVATE LIMITED নামে ২টি সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করেন কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। প্রায় ২১ কোটি টাকার প্রভিডেন্ট ফান্ড বকেয়া রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার ওই মামলায় ED-কে তদন্তভার দেন বিচারপতি। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ FIR দায়ের করল কি না, শুক্রবারের মধ্যে তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন SFIO-কে। সেই মতো এদিন ফের শুরু হয় শুনানি। দুপুর ৩টে ৫ মিনিটে, হেয়ার স্ট্রিট থানার OC-কে তলব করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। দুপুর ৩টে ২৫ মিনিটে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে। এই প্রেক্ষাপটে, SFIO-র তরফে জানানো হয়, দুপুর ২টোয় তারা হেয়ার স্ট্রিট থানায় গিয়েছিল। অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। থানা থেকে বলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের কপি এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতির পরে FIR দায়ের করার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। এরপর রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য আরও একদিন সময় চান SFIO-র আইনজীবী। কিন্তু বিচারপতি তা খারিজ করে দিয়ে বলেন, কোনও কথা শুনতে চাই না। ১০ মিনিটের মধ্যে রিপোর্ট চাই। শুক্রবার দুপুর ৩টে ৩৫ মিনিটে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় SFIO-র তরফে। তা দেখে খানিকটা অসন্তোষ প্রকাশ করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাদের আইনজীবীকে বলেন, এটা কি রিপোর্ট? এটা তো শুধু সাক্ষ্যগ্রহণের প্রশ্নোত্তর। আর কিছু লেখেননি? উত্তরে SFIO-র আইনজীবী বলেন, হ্যাঁ, এক পৃষ্ঠা লিখেছি। FIR দায়ের হয়েছে। তখন বিচারপতি বলেন, OC এখনও আসেননি, তবে যেহেতু FIR দায়ের হয়েছে তাই এদিন আর তাঁর আসার দরকার নেই। এদিকে দুপুর ৩টে ৫০ মিনিটে আদালতে হাজিরা দেন হেয়ার স্ট্রিট থানার OC. তাঁর উদ্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, '২১ কোটি টাকা প্রভিডেন্ট ফান্ড বকেয়া। একটু শক্ত হাতে কাজ করুন। এক্ষেত্রে আপনারা খুব ভাল কাজ করেছেন। আপনাদের কাজে আমি খুব খুশি। '
বিচারপতি আরও বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে পুলিশের বিরুদ্ধে কিছু বলতে চাই না। পুলিশের বিরুদ্ধে আমার কোনও অভিযোগ নেই। আপনাদের কাজ না করতে দিলে আপনারা আর কী করবেন? আপনাদের নির্বিঘ্নে কাজ করতে দিলে সাধারণ আইনশৃঙ্খলার কোনও সমস্যাই থাকে না। এদিন আদালত নির্দেশ দিয়েছে, FIR-এর বিষয়বস্তু ED-কে জানাবে SFIO। তারপরই ED পদক্ষেপ করবে। পরবর্তী শুনানির দিন রিপোর্ট দেবে SFIO এবং ED.
এদিন এজলাসে উপস্থিত SFIO-র দুই আধিকারিককে তদন্তকারী আধিকারিক হিসাবে নিযুক্ত করে হাইকোর্ট। এদিকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে Delta Limited. যদিও তাদের মামলা খারিজ করে দিয়ে, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রেখেছে বিচারপতি সূর্যপ্রকাশ কেশরওয়ানি ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। তারা জানিয়েছে তদন্ত শুরু হয়েছে, তাই এই মুহূর্তে হস্তক্ষেপের কোনও প্রয়োজন নেই। সিঙ্গল বেঞ্চে পরবর্তী শুনানি ২২ ফেব্রুয়ারি।
আরও পড়ুন: হিংসায় তছনছ উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানি, জখম অন্তত ২৫০! মৃত্যু একাধিক
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে