Haldwani Violence: হিংসায় তছনছ উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানি, জখম অন্তত ২৫০! মৃত্যু একাধিক
Madrasa Demolition: উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানিতে সরকারি জমি দখল করে মাদ্রাসা ও মসজিদ তৈরি করার অভিযোগ ছিল। ওই নির্মাণ বেআইনি বলে ঘোষণা করে প্রশাসন। আদালতের নির্দেশে ওই দুই নির্মাণ ভাঙতে এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ-প্রশাসনের বড় দল। তখনই ছড়িয়ে পড়ে হিংসা।
উত্তরাখণ্ড: সরকারি জমি বেদখলের অভিযোগ ছিল। আদালতের (Court Order) নির্দেশ অনুযায়ী সেই জমি বেদখল করতে গিয়ে তুমুল অশান্তি ছড়াল উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) হলদোয়ানিতে। পুলিশের সঙ্গে বারবার সংঘর্ষের ঘটনায় ঝরল প্রাণ। দুই পক্ষ মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে আড়াইশো। গোটা শহরে কার্ফু (Curfew) জারি করা হয়েছে, দুষ্কৃতী তাণ্ডব রুখতে দেখা মাত্র গুলির (Shoot-at-Sight) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে গোটা এলাকায়। বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।
উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানিতে সরকারি জমি দখল করে মাদ্রাসা ও মসজিদ তৈরি করার অভিযোগ ছিল। তা তুলতে পদক্ষেপ করছিল সরকার। তা নিয়ে চাপা উত্তেজনা ছিল। ওই নির্মাণ বেআইনি বলে ঘোষণা করে প্রশাসন। তারপরে আদালতের নির্দেশ নিয়ে ওই দুই নির্মাণ ভাঙতে এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ-প্রশাসনের বড় দল। তখনই ছড়িয়ে পড়ে হিংসা। স্থানীয় বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ পাল্টা পুলিশের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। সেই সংঘর্ষ ঘিরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হলদোয়ানির বনভুলপাড়া এলাকা।
রিপোর্ট অনুয়ায়ী, স্থানীয়দের একাংশের হামলায় একাধিক পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। ঝামেলায় মাঝে পড়ে আক্রান্ত হয়েছেন সাংবাদিকরাও। পুলিশকর্মী, পুরসভার (Municipality) কর্মীদের লক্ষ্য করে লাগাতার পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় একের পর এক গাড়ি-বাইকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিপুল সংথ্যক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন রাখা হয়েছে ওই এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেহরাদূন ,হরিদ্বার ও উধম সিংহ নগরে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। অশান্তি যাতে না ছড়ায় তার জন্য কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে এলাকায়।
ঘটনার দিকে নজর রেখেছেন উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি (Pushkar Singh Dham)। গোটা এলাকায় সবরকম ভাবে নিয়ন্ত্রণ বজায় করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে ওই এলাকা শান্ত করার জন্য।
প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে আপাতত পরিস্থিতি নাগালের মধ্যেই রয়েছে। একাধিক ভিডিও ফুটেজের দিকে নজর রাখছে পুলিশ। কারা আসন দোষী, কারা হামলা চালিয়েছিল, কাদের ইন্ধনে এমন ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখে বের করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কোনও গুজবে কান না দেওয়ার জন্য় বলা হয়েছে পুলিশের তরফে।
আরও পড়ুন: মোদির বিরুদ্ধে মামলা খারিজ করেছিলেন, তিনিই কি এবার ভারতের লোকপাল?