Abhijit Gangopadhyay: 'মাতৃভাষা বলার জন্য জিভ কাটতে হলে ২১ ফেব্রুয়ারির মানে নেই', আদালতে বাংলায় সওয়াল-জবাব চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
Calcutta High Court: 'লক্ষ্য করেছি, অনেকে বাংলায় কথা বলেছেন বলে জিভ কেটেছেন। মাতৃভাষায় কথা বলার জন্য যদি জিভ কাটতে হয়, তাহলে ২১ ফেব্রুয়ারির কোনও মানে হয় না'।
কলকাতা: 'আজ সারাদিন বাংলায় কথা বলব, সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) উত্তর চাইলে উত্তর দেব। আদালতকে আমাদের মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে'। বৃহস্পতিবার এমনই মন্তব্য করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangapadhyay)। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাত জানিয়ে আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য (Bikash Bhattacharya) আদালতে বলেন, 'ভাল সিদ্ধান্ত, ভারতের বিভিন্ন আদালতে মাতৃভাষায় কথা বলা হয়। বিচারপতি সুকুমার চট্টোপাধ্যায় বাঙাল ভাষায় কথা বলতেন'। এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বাংলা ভাষা নিয়ে মন্তব্য করে বলেন, 'লক্ষ্য করেছি, অনেকে বাংলায় কথা বলেছেন বলে জিভ কেটেছেন। মাতৃভাষায় কথা বলার জন্য যদি জিভ কাটতে হয়, তাহলে ২১ ফেব্রুয়ারির কোনও মানে হয় না'।
তিনি বিচারপতি সম্প্রতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangapadhyay)। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কাজে সাধারণের মন কেড়েছেন তিনি। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে যখন তোলপাড় রাজ্য তখনই বিচারপতির একের পর এক রায় হইচই ফেলেছে নানা মহলে। এবার আদালতে মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে চাইলেন তিনি। আগে চাকরিপ্রার্থীদের বলেছিলেন, আর এবার আইনজীবীদেরও বাংলায় সওয়াল করতে বললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার আদালতেই তিনি জানালেন, তিনি বাংলায় বলতে চান। একই সঙ্গে আইনজীবীদেরও বাংলাতেই সওয়াল করতে বলেন। গত মঙ্গলবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ই প্রশ্ন তুলেছিলেন, কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) কেন বাংলায় মামলার সওয়াল করা হবে না।
নিয়োগ দুর্নীতির শুনানি চলাকালীন বৃহস্পতিবার এজলাসে উপস্থিত আইনজীবীদেরও বাংলায় প্রশ্ন করতে বলেন তিনি। উল্লেখ্য গত ১৬ জানুয়ারি, একটি মামলার শুনানির মাঝে চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশে বিচারপতি বলেছিলেন, তিনি লক্ষ্য করেছে অনেকে ইংরেজি বলতে স্বচ্ছন্দ নন। তাঁদের আশ্বস্ত করে বাংলাতেই কথা বলার কথা বলেছিলেন বিচারপতি।
বহু চাকরিপ্রার্থীই তাঁকে ভগবান রূপে দেখেছেন। কিছুদিন আগে ভগবান উদ্ধার করুন, লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সল্টলেকের বাড়িতে পৌঁছে যান ২০১৬ সালের SLST-র সুপারিশ প্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থীরা। বিচারপতির বাড়ির সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। বাড়ি থেকে বেরিয়ে, চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়। এর পর রাতে কুণাল ঘোষের বাড়িতেও যান চাকরিপ্রার্থীরা।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ধূলা মন্দিরের দুর্লভ সন্ধ্যায়, কিছু মুহূর্তের দেখা, বইমেলায় নিজের লেখা কবিতাপাঠ