Kalatan Dasgupta: ভাইরাল অডিও কাণ্ডে গ্রেফতার DYFI নেতা কলতান দাশগুপ্ত, ডাক্তারদের ধর্নামঞ্চে হামলার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
RG Kar Case: ডাক্তারদের ধর্নামঞ্চে হামলার চক্রান্তের অভিযোগ ।
কলকাতা: ভাইরাল অডিও কাণ্ডে আটক CPM-এর যুব সংগঠন, DYFI-এর নেতা কলতান দাশগুপ্ত। ডাক্তারদের ধর্নামঞ্চে হামলার ষড়যন্ত্রের আটক কলতান। গতকালই এই ঘটনায় হালতু থেকে গ্রেফতার করা হয় সঞ্জীব দাসকে। ডাক্তারদের ধর্নামঞ্চে হামলার চক্রান্তের অভিযোগ। গতকালই ওই ভাইরাল অডিও নিয়ে সরব হন তৃণমূলের নেতা কুণাল ঘোষ। ডাক্তারদের ধর্নামঞ্চে হামলার চক্রান্তের অভিযোগ করেন তিনি। শনিবার সকালে গ্রেফতার হলেন কলতান। (Kalatan Dasgupta)
বিধাননগর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কলতানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ বেলার দিকে সাংবাদিক বৈঠক করা হবে। সেখানে বিশদ তথ্য তুলে ধরবে পুলিশ। বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশ গ্রেফতার করেছে কলতানকে। এই অডিও ক্লিপের সঙ্গে কলতানের যোগ পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। (RG Kar Case)
গতকাল কুণাল যে অডিও ক্লিপ প্রকাশ করেন, তার সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। কুণাল জানান, নবান্নে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক ভেস্তে যায়। ওই জুনিয়র চিকিৎসকদের উপর হামলার পরিকল্পনা চলছিল, যাতে সব দায় সরকারের উপর পড়ে। বাম যুবনেতাদের কয়েক জন এবং অতি বাম ঘেঁষা কেউ কেউ এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন বলে অভিযোগ করেন কুণাল। এর পরই প্রথমে সঞ্জীব এবং পরে কলতান গ্রেফতার হলেন।
সঞ্জীব এবং কলতানের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার আওতায় ২২৪, ৩৫২, ৩৫৩, ৩৫১ এবং ৩৬১ নং ধারায় মামলা হয়েছে। মামলা দায়ের করেছে ইলেকট্রনিক্স থানার পুলিশ। আজ বিধাননগর আদালতে পেশ করা হবে সঞ্জীব এবং কলতানকে। সেখানে তাঁদের হেফাজতে চাওয়া হবে। এই মুহূর্তে ফিয়ার্স লেনে ধর্নায় বসে রয়েছেন বামেরা। কাল রাতে সেখানে ছিলেন কলতানও। তাঁর গ্রেফতারির খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অনুমানের ভিত্তিতে পুলিশ ডাকতে পারে, কিন্তু সত্যাসত্য প্রমাণ না হলে কিছু বলা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন সিপিএম নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী আনাদি সাউ। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, সাইবার অপরাধ বিভাগও ভাইরাল অডিও-র তদন্ত করছে। প্রথমে সঞ্জীবকে গ্রেফতার করা হয়। সঞ্জীবকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এবং হাতে আরও কিছু তথ্য আসার পর গ্রেফতার করা হয় কলতানকে।
ওই ভাইরাল অডিওয় যে কথোপকথন শোনা যায়, তা হল-
কণ্ঠ ১ - সাহেব অর্ডার করেছে।
কণ্ঠ ২ - সাহেব?
কণ্ঠ ১ - অর্ডার করেছে।
কণ্ঠ ২ - হ্যাঁ।
কণ্ঠ ১ - সল্টলেক।
কণ্ঠ ২ - হ্যাঁ।
কণ্ঠ ১ - ওড়াবার জন্য।
কণ্ঠ ২ - অর্ডার হলে করে দে।
কণ্ঠ ১ - বলছি, আমি এত বছর এই কাজ করেছি, আমার কোনওদিন ভয়ডর লাগেনি। কিন্তু,
এখন এটা বিবেক... মানে, করাটা ঠিক হবে? এরা তো লোকের জীবন বাঁচায়।
কণ্ঠ ২ - তোকে তো ফাইট টু ফিনিশ করতে বলেনি।
কণ্ঠ ১ - হ্যাঁ?
কণ্ঠ ২ - তোকে তো ফাইট টু ফিনিশ করতে বলেনি।
কণ্ঠ ১ - ছেলেরা মদ খেয়ে যায়। কোনও একটা বেহাত কিছু হয়ে গেলে, সেটাও তো চিন্তার বিষয়।
কণ্ঠ ২ - সেটা ওকে বল, যে আমার এরকম মনে হচ্ছে। কী করব?
কণ্ঠ ১ - বাপ্পাদাকে পার্সোনালি জিজ্ঞেস করেছিলাম।
কণ্ঠ ২ - হ্যাঁ
কণ্ঠ ১ - বাপ্পাদা বলছে,জানোয়ার হয়ে যাইনি এখনও।
কণ্ঠ ২ - হ্যাঁ, ওই মতো করেই কর।
কণ্ঠ ১ - কী করব? মাথা ফাটানোটা ঠিক হবে?
কণ্ঠ ২ - দেখ, খানিকটা যদি কিছু করা যায়। খানিকটা হলেও ওই ব্যাপারটা থাকবে, যে ওরাই এটা করাল।