Kali Puja 2023 : চলছে অমাবস্যা, সোমবারও তারাপীঠে ঠাসা ভিড়, পড়ুন এই তারা মা-কে ঘিরে নানা বিশ্বাসের কথা
Birbhum Tarapith: সমুদ্রমন্থনে ওঠা বিষপান করে নীলকণ্ঠ হন মহাদেব ৷ তাঁকে বাঁচাতে সন্তান রূপে স্তন্যপান করান দেবী ৷
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম : বঙ্গভূমের অন্যতম সাধনপীঠ তারাপীঠ ( Tarapith )। শক্তির আরাধনার জন্য বিখ্যাত এই পীঠ । যুগ যুগ ধরে কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দুতে শক্তিপীঠ। বশিষ্ঠ থেকে বামাক্ষ্যাপা। সুদূর অতীত থেকে বহু সাধকের সাধনার ক্ষেত্র এই সিদ্ধপীঠ। প্রচলিত কিংবদন্তী অনুসারে, তারাপীঠের আধ্যাত্মিক মাহাত্ম্য বিপুল। লোককথায় এ এক মহাশক্তির কেন্দ্রস্থল। দীপাবলি ( Diwali ) উপলক্ষ্যে অপূর্ব সাজে সেজে ওঠেন মা-তারা। এবার অমাবস্যার ব্য়াপ্তি দুদিন ধরে। তাই কালীপুজোর ( Kali Puja 2023 ) পরের দিন সোমবারও তারাপীঠেও পুজো দিতে ভক্তদের ভিড় চোখে পড়ার মতো।
সোমবার সকালও শুরু হয় মঙ্গলারতি দিয়ে। এরপর নিত্যদিনের মতোই ভোগ নিবেদন করা হয় তারা-মাকে। তারাপীঠে তারা মায়ের আরাধনা হয় তন্ত্রমতে। কথিত আছে, একবার দেবীর মাতৃরূপ দর্শন চান বশিষ্ঠ মুনি। দেবীও নিরাশ করেননি। মাতৃরূপে দর্শন দেন দেবী। এখানেই তপস্যা করে সিদ্ধিলাভ করেন তারামায়ের ভক্ত বামাক্ষ্যাপা। ফলে তারাপীঠ সিদ্ধ পীঠ হিসেবেও পরিচিত।
রবিবার, কালীপুজোর দিন, ভোর সাড়ে ৫টায় খোলে মন্দিরের দরজা। সকালে তেল, অগুরু, গোলাপজল, ডাবের জল, কারণবারি দিয়ে স্নানের পর দেবীর শিলাব্রহ্মময়ী মূর্তিকে রাজবেশে সাজিয়ে তোলা হয়। চুনরি পরিয়ে সাজানো হয় মাকে। এরপর পঞ্চ উপাচারে মঙ্গলারতি এবং নিত্যপুজো। মাকে দেওয়া হয় শীতল ভোগ। নিবেদন করা হয় ছোলা, সন্দেশ, মিছরির শরবত। কালীপুজোর দিন তারা মাকে পঞ্চব্যঞ্জন সহযোগে ভোগ নিবেদন করা হয়। ভোগ হিসেবে থাকে পোলাও, খিচুড়ি, সাদা ভাত, পাঁচ রকম ভাজা, পাঁচ মিশালি তরকারি, মাছ, পাঁঠার মাংস, চাটনি, পায়েস এবং মিষ্টি। এখানকার অন্নভোগের বিশেষত্ব পোড়া শোলমাছ মাখা। দীপান্বিতা অমাবস্যা উপলক্ষ্যে নিয়ম-নিষ্ঠা মেনে হয় বিশেষ সন্ধ্যারতি। আয়োজন করা হয় বিশেষ নিশি পুজোর। পুজো শেষে নিবেদন করা হয় লুচি, পায়েস, সুজি দিয়ে শীতল ভোগ।
তারাপীঠে তারা মায়ের আরাধনা হয় তন্ত্রমতে। ইতিহাস ও কিংবদন্তী মিলেমিশে একাকার শক্তিপীঠে। জনশ্রুতি, সমুদ্রমন্থনে ওঠা বিষপান করে নীলকণ্ঠ হন মহাদেব ৷ তাঁকে বাঁচাতে সন্তান রূপে স্তন্যপান করান দেবী ৷ সেই রূপেই তারাপীঠের অধিষ্ঠাত্রী দেবী পূজিতা হন।
লালমাটির জেলা বীরভূমে শাক্তপীঠের ছড়াছড়ি। তারা পীঠ শক্তিপীঠ আর বোলপুরের কঙ্কালীতলা থেকে লাভপুরের ফুল্লরা, সতীপীঠ। দীপান্বিতা অমাবস্যায় সতীপীঠগুলি যেন সেজে উঠেছিল অনন্যসাজে। প্রতিটি জায়গাতেই দেবীদর্শনের জন্য জড়ো হন হাজারো ভক্ত।
আরও পড়ুন :
এই শুভকাজটি করতে পারেন আজ, দিনের ভাল-খারাপ সময় কখন ?