Kalyani Medical College: থ্রেট কালচারের অভিযোগ, কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজের ৪০ জন ডাক্তারি পড়ুয়াকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত !
Threat Culture Allegation : এর পাশাপাশি কল্যাণী মেডিক্যালে স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কল্যাণী : 'থ্রেট কালচারকে সমূলে বিনাশ করার জন্য প্রত্যেক কলেজে তদন্ত কমিটি বসাতে হবে।' স্বাস্থ্যভবনের সামনে থেকে ধর্না তুলে নেওয়ার ঘোষণার সময় সাংবাদিক বৈঠকে থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে তাঁদের লড়াই চলবে বলে একঅর্থে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এই আবহেই এবার কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজ থেকে থ্রেট কালচারের অভিযোগে ৪০ জন ডাক্তারি পড়ুয়াকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। হাসপাতাল, হস্টেল, কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ৪০ জন ডাক্তারি পড়ুয়াকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকে। ন্যূনতম ৬ মাসের জন্য তাঁদের বহিষ্কার করা হচ্ছে। শুধুমাত্র পরীক্ষা দিতে ও তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হতে ক্যাম্পাসে প্রবেশে ছাড় দেওয়া হয়েছে তাঁদের।
এর পাশাপাশি কল্যাণী মেডিক্যালে স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার কমিটি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সমস্ত ক্লাস রিপ্রেজেনটেটিভকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। কলেজ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বহিষ্কৃত ডাক্তারি পড়ুয়ারা। এছাড়া আজ থেকে হস্টেল চত্বরে বসছে পুলিশ পিকেট, চলবে টহলদারি। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে বলেও জানিয়ে দেয় কলেজ কাউন্সিল।
নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে, বুধবার নবান্নে ফের মুখ্য়সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। নিরাপত্তায় বারবার জোর দেওয়ার নেপথ্য়ে, যে কারণগুলো রয়েছে তার মধ্য়ে অন্য়তম হল থ্রেট কালচার। বুধবার জুনিয়র ডাক্তাররা যে ইমেল পাঠান, সেখানে উল্লখ করা হয়েছে থ্রেট কালচারের কথা।
আর জি কর মেডিক্য়ালে ধর্ষণ, খুনের পরই রাজ্য়ের একের পর এক সরকারি মেডিক্য়াল কলেজ থেকে সামনে আসতে শুরু করে থ্রেট কালচারের অভিযোগ। ভাইরাল হয় হুমকি-শাসানির একাধিক অডিও ক্লিপ। ডাক্তারি পড়ানোর কলেজে, একটি নির্দিষ্ট লবির দাদাগিরি কোন জায়গায় পৌঁছেছিল, তা পরিষ্কার হয়ে যায় ভাইরাল অডিও ক্লিপ থেকে।
মেডিক্য়াল কলেজগুলিতে থ্রেট কালচারের অভিযোগ ওঠে । SSKM-এর পোস্ট গ্র্য়াজুয়েট ট্রেনি অভীক দে, SSKM-এর প্রাক্তনী ও চিকিৎসক রণজিৎ সাহা এবং বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, যিনি আর জি কর-কাণ্ডের সময় বর্ধমান মেডিক্য়াল কলেজের চিকিৎসক ছিলেন। এই দু'জনই আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজের প্রাক্তন অধ্য়ক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ এবং নর্থ বেঙ্গল লবির বলে পরিচিত। আর জি কর-কাণ্ডের পর চাপের মুখে প্রথমে বিরূপাক্ষ বিশ্বাস ও অভীক দে-কে সাসপেন্ড করে স্বাস্থ্যভবন। এরপর অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাস ও রণজিৎ সাহার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে কলকাতা পুলিশ। বউবাজার থানা সূত্রে খবর, শুধু কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকেই অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাস এবং রণজিৎ সাহার বিরুদ্ধে জুনিয়র ডাক্তারদের ৪৬টি অভিযোগ মেলে।
এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘ আন্দোলনের পর ধর্না তুলে নেওয়ার কথা বললেও, থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার বলেন, 'থ্রেট কালচারকে সমূলে বিনাশ করার জন্য প্রত্যেক কলেজে তদন্ত কমিটি বসাতে হবে। সিলেক্টেড মেম্বারদের মাধ্যমেই থ্রেট কালচার চলে। কিছু মানুষকে সিলেক্ট করে নেওয়া হয়। সেইজন্য প্রয়োজন গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি। যাতে এই থ্রেট কালচার না চলতে পারে।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।