Rajanya Halder: রাজন্যার মন্তব্য বিতর্কের মধ্যেই এবার TMC কাউন্সিলর জুঁই বিশ্বাসের পোস্ট, ' শুধু নিজের স্বার্থ নিয়ে রাজনীতি করতে আসা..' !
TMC Councilor Attacks Rajonya Halder: কসবাকাণ্ডের রাজন্যা হালদারের বক্তব্য ঘিরে বিতর্ক, ফিরহাদ কন্যা, অতীন কন্যার পর এবার নাম না করেই তীব্র আক্রমণ তৃণমূল কাউন্সিলর জুঁই বিশ্বাসের, কী বলেছেন তিনি ?

কলকাতা: কসবাকাণ্ডের পর টিএমসিপি-র সাসপেন্ডেড নেত্রী রাজন্যা হালদারের বক্তব্য ঘিরে বিতর্ক মোড় নিয়েছে। ফিরহাদ কন্যা, অতীন কন্যার পর এবার সমাজ মাধ্যমে নাম না করেই তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলর জুঁই বিশ্বাস।
কলকাতা পুরসভার ৮১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর জুঁই বিশ্বাস বলেন, তিনি TMCP-র (প্রাক্তন) নেত্রী, তাঁর তো সবার আগে অভিযোগ করা উচিত ছিল। তিনি কেন অভিযোগ করেননি? কসবাকাণ্ডের পর প্যান্ডোরার বাক্স খুলে দিয়েছে! কলেজে কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ও প্রাক্তনীদের কতটা দাপট, তা সামনে আসছে। আর এই আবহেই মুখ খুলেছেন TMCP-র সাসপেন্ডেড নেত্রী রাজন্য়া হালদারও। যে কারণে তৃণমূলের দিক থেকেই তাঁকে বারবার আক্রমণ করা হচ্ছে। এবার তাঁর নাম না করে তীব্র নিশানা করলেন কলকাতা পুরসভার ৮১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর জুঁই বিশ্বাস। নাম না করেই ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, 'যোগ্যতা বিচারের জন্যও যোগ্যতা লাগে। একে যাঁরা মাথায় তুলেছিলেন, তাঁদের যোগ্যতা নিয়েও সন্দেহ আছে। না নেত্রী হওয়ার যোগ্যতা আছে, না অভিনেত্রী'দু'দিন এসেই নেত্রী?, কটাক্ষ জুঁই বিশ্বাসের। তিনি আরও লিখেছেন, কোভিড বা কোনও natural calamity তে এদের মুখ কেউ দেখতে পায় না।শুধু personal agenda নিয়ে রাজনীতি করতে আসা।'

টেলিফোনে এবিপি আনন্দ-কে জুঁই বিশ্বাস বলেন, দু-চারদিন ধরেই দেখছি, আমার দলের কিছু নেত্রী, স্বঘোষিত নেত্রী, যদিও এখন সাসপেন্ডেড, তিনি বলছেন যে তিনি বিভিন্ন সময়ে নাকি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের দ্বারা নাকি তিনি বিভিন্ন সময়ে হেনস্থার সম্মুখীন হয়েছেন এবং সেক্ষেত্রে এতদিন তিনি কেন চুপ করে ছিলেন, এটা আমার প্রথম প্রশ্ন।' রাজন্যা তাহলে কোন উদ্দেশ্য নিয়ে বলল বলে আপনার মনে হচ্ছে? প্রশ্নের উত্তরে জুঁইয়ের জবাব, 'উদ্দেশ্য তো আমি জানি না।'
মূলত, সাউথ ক্যালকাটা ল' কলেজে গণধর্ষণের অভিযোগে যখন রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে, তখন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন সাসপেন্ডেড TMCP নেত্রী রাজন্যা হালদার। টিএমসিপি-র ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্যকে করতে শোনা যায় রাজন্যাকে। '...আজকে যদি আমরা দায় অস্বীকার করি, মানে আমরা, আমাদের কথা বলছি (নিজের দিকে আঙুল দেখিয়ে), তাহলে সেটা তো হয় না। আমরাই এরকম দাদাদেরকে কোথাও না কোথাও গিয়ে, সঞ্জীবনী জুগিয়েছি।...মনোজিত মিশ্রের মতো দাদারা, যেনও আর মাথা তুলে না দাঁড়াতে পারে। আমার AI করা অশ্লীল ছবি, দাদারা জুনিয়রদের মোবাইলে মোবাইলে পাচার করেছে।' অভিযোগ তোলেন তিনি।






















