Ketugram: কেতুগ্রামে স্ত্রীর কব্জি কাটায় অভিযুক্ত স্বামী গ্রেফতার, সুপারি দিয়ে হামলার চেষ্টা
Ketugram Nurse Attacked: সূত্রের খবর, ‘স্ত্রীর উপর হামলার জন্য বন্ধু সাজিয়ে ২জনকে সুপারি দেওয়া হয়েছিল। কেতুগ্রামে রেণু খাতুনের উপর হামলায় এমনটাই সন্দেহ হয় পুলিশের।
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: কেতুগ্রামে (Ketugram) স্ত্রীর উপরে হামলাতেও সুপারি! কেতুগ্রামে স্ত্রীর কব্জি কাটায় অভিযুক্ত স্বামী গ্রেফতার। সকালেই গ্রেফতার শ্বশুর-শাশুড়ি গ্রেফতার হন। এর পরে আজই গ্রেফতার হলেন স্বামী। সূত্রের খবর, ‘স্ত্রীর উপর হামলার জন্য বন্ধু সাজিয়ে ২জনকে সুপারি দেওয়া হয়েছিল। কেতুগ্রামে রেণু খাতুনের উপর হামলায় এমনটাই সন্দেহ হয় পুলিশের।
প্রেক্ষাপট
সরকারি চাকরি পেয়েছেন। মিলেছে নার্সের কাজ। কিন্তু সেই উচ্ছ্বাস মিলিয়ে গেছিল স্বামীর অতর্কিত হামলায়। চাকরি পাওয়ার 'অপরাধ'-এ স্ত্রীয়ের কব্জি কেটে নেওয়ার ঘটনা শিহরণ তৈরি করেছে রাজ্যেও। সরকারি চাকরি পাওয়ার 'অপরাধে' ঘুমিয়ে থাকার সময় স্ত্রী ডান হাতের কব্জি কেটে নেয় তাঁর স্বামী। অভিযুক্তের নাম শের মহম্মদ শেখ। তার একটি মুদিখানার দোকান রয়েছে। ঘটনাস্থল কেতুগ্রামের চিনিসপুর।
শনিবার রাতে কেতুগ্রামের চিনিসপুরের বাড়িতেই ঘুমিয়ে ছিলেন রেণু খাতুন। অভিযোগ সেই সময় বাড়িতে বন্ধুদের নিয়ে ঢোকেন অভিযুক্ত শের মহম্মদ শেখ। গভীর রাতে অঘোরে ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন রেণু। সেই সময় আচমকা বালিশ চাপা দিয়ে তাঁকে কাবু করা হয়। অভিযোগ, বালিশ চাপা দিয়ে কাবু করে ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে রেণুর ডান হাত কব্জি থেকে কেটে নেন অভিযুক্ত। তারপরে সেই অবস্থায় তাঁকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান অভিযুক্ত। পরে দুর্গাপুরের এক নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয় মহিলাকে। খবর দেওয়া হয় রেণুর বাপেরবাড়িতে। মহিলার বাড়ির লোকের দাবি, তাঁরা হাসপাতালে গিয়ে পৌঁছতেই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় অভিযুক্ত।
আরও পড়ুন, ডান হাতের কব্জি হারিয়েও হাল ছাড়তে নারাজ রেণু! বাঁ হাতেই লিখলেন-'I proud myself'
এদিকে, সরকারি চাকরি পাওয়ায়, কব্জি থেকে ডানহাত কেটে দিয়েছে স্বামী! কিন্তু কাজের প্রতি অদম্য ভালবাসা, থামাতে পারেনি, কাটোয়ার রেণু খাতুনকে। বাঁ হাতেই কলম তুলে নিয়েছেন এই নার্স। ছোট থেকেই তিনি তো চেয়েছিলেন একজন নার্স হতে। কিন্তু, একটা ঘটনা ছাড়খার করে দিয়েছে সবকিছু। অভিযোগ, যাঁকে ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন, সেই স্বামীই এই তরুণীর ডান হাতের কব্জির ওপর থেকে কেটে নেয়। কিন্তু রেণু দমবার পাত্রী নন। বাঁ হাতেই তুলে নিয়েছেন কলম। বুঝিয়ে দিয়েছেন, হাত কাটলেও, কাড়া যাবে না তাঁর প্রাণশক্তি। এক হাতেই মানুষের সেবা করার মহত্ ব্রতর চাকরিটা করতে চান তিনি।