(Source: Poll of Polls)
Purba Bardhaman: স্ত্রীয়ের কব্জি কাটার ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্তের বাবা-মা
Purba Bardhaman News: চাকরি পাওয়ার 'অপরাধ'-এ স্ত্রীয়ের কব্জি কেটে নেওয়ার ঘটনায় এবার শ্বশুর ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করল কেতুগ্রাম থানার পুলিশ।
রাণা দাস, পূর্ব বর্ধমান: কদিন আগেই খবর পেয়েছিলেন সরকারি পরীক্ষায় পাশ করেছেন। চাকরি মিলেছে নার্সের (Nurse Job)। কিন্তু স্ত্রীয়ের উচ্ছ্বাস মুহূর্তে বিভীষিকায় পরিণত করে দিলেন স্বামী। চাকরি পাওয়ার 'অপরাধ'-এ স্ত্রীয়ের কব্জি কেটে নেওয়ার ঘটনায় এবার শ্বশুর ও শাশুড়িকে (Father and Mother in law) গ্রেফতার করল কেতুগ্রাম (Ketugram) থানার পুলিশ।
স্ত্রীয়ের হাত কাটল স্বামী
চাকরি পেয়েছেন। খুশির খবর সবার আগে দিয়েছিলেন তাঁর স্বামীকে। কিন্তু, তাঁর হাতেই যে এমন বিপদ হতে পারে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি রেুণু খাতুন। সরকারি চাকরি পাওয়ার 'অপরাধে' ঘুমিয়ে থাকার সময় স্ত্রী ডান হাতের কব্জি কেটে নেয় তাঁর স্বামী। অভিযুক্তের নাম শের মহম্মদ শেখ। তার একটি মুদিখানার দোকান রয়েছে। ঘটনাস্থল কেতুগ্রামের চিনিসপুর।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত স্বামীর বাবা ও মাকে, অর্থাৎ আক্রান্ত মহিলার শ্বশুর ও শাশুড়িকে। যদিও মূল অভিযুক্ত স্বামী এখনও পলাতক। আজ ভোরবেলায় কেতুগ্রামের চাকদা গ্রাম থেকে থেকে বাস ধরে অন্যত্র পালাবার চেষ্টা করছিলেন শ্বশুর ও শাশুড়ি। পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দুজনকে গ্রেফতার করে।
শনিবার রাতে কেতুগ্রামের চিনিসপুরের বাড়িতেই ঘুমিয়ে ছিলেন রেণু খাতুন। অভিযোগ সেই সময় বাড়িতে বন্ধুদের নিয়ে ঢোকেন অভিযুক্ত শের মহম্মদ শেখ। গভীর রাতে অঘোরে ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন রেণু। সেই সময় আচমকা বালিশ চাপা দিয়ে তাঁকে কাবু করা হয়। অভিযোগ, বালিশ চাপা দিয়ে কাবু করে ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে রেণুর ডান হাত কব্জি থেকে কেটে নেন অভিযুক্ত। তারপরে সেই অবস্থায় তাঁকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান অভিযুক্ত। পরে দুর্গাপুরের এক নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয় মহিলাকে। খবর দেওয়া হয় রেণুর বাপেরবাড়িতে। মহিলার বাড়ির লোকের দাবি, তাঁরা হাসপাতালে গিয়ে পৌঁছতেই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় অভিযুক্ত।
অভিযোগ, কব্জি কেটে নেওয়ার পর হাসপাতালে নিয়ে গেলেও কাটা হাত বাড়িতেই লুকিয়ে রেখেছিল অভিযুক্ত। চিকিৎসকেরা যাতে কোনওভাবেই হাত জোড়া দিতে না পারে সেই কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। হাত জোড়া না লাগলে চাকরি পাওয়া যাবে না, এমন ভাবনা থেকেই এই কাজ বলে অভিযোগ।