(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Adenoviruses: বিসি রায় হাসপাতালে মৃত্যু আরও এক শিশুর, দুই মাসে শিশুমৃত্যু বেড়ে ১৩৭
Child Deaths: শনিবার ভোররাতে বিসি রায় হাসপাতালে বনগাঁর হেলেঞ্চার বাসিন্দা সাত মাসের শিশুর মৃত্যু হয়।
কলকাতা: অ্যাডিনোভাইরাসকে (Adenoviruses) ঘিরে আতঙ্কের মধ্যেই ফের বিসি রায় হাসপাতালে (BC Roy Hospital) আরও এক শিশুর মৃত্যু হল। বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই নিয়ে গত দুই মাসে রাজ্যে মৃত্যু হল ১৩৭ জন শিশুর। একের পর এক শিশুর মৃত্যুতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা রাজ্যে। শহর কলকাতার হাসপাতালগুলিতে কার্যতই ভিড় উপচে পড়ছে। তার জন্য জেলা থেকে রেফার করা রোগীর দিকে আঙুল উঠছে (Kolkata News)। এ নিয়ে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতি চেয়ে বিধানসভায় হয়েছে বিক্ষোভও।
বনগাঁ হাসপাতাল থেকে তাকে বিসি রায় হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল শিশুটিকে
শনিবার ভোররাতে বিসি রায় হাসপাতালে বনগাঁর হেলেঞ্চার বাসিন্দা সাত মাসের শিশুর মৃত্যু হয়। গত ন'দিন ধরে বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি ছিল ওই শিশু। বনগাঁ হাসপাতাল থেকে তাকে বিসি রায় হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল তাকে। পরিবারের দাবি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শিশুটিকে। শিশুটির মৃত্যুর শংসাপত্রে নিউমোনিয়ার উল্লেখ রয়েছে।
আরও পড়ুন: Santanu Banerjee: ধাপে ধাপে কুন্তলের থেকে ৮০ লক্ষ নেন শান্তনু! আজ আদালতে পেশ করবে ইডি
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বনগাঁ হাসপাতালে ওই শিশুটির চিকিৎসা চলছিল। ন'দিন আগে সেখান থেকে রেফার করা হয় কলকাতায়। তার পর আইসিইউ-তে রাখা হয়েছিল। এ দিন ভোরে মৃত্যু হয় তাঁর। এই নিয়ে বিসি রায় হাসপাতালে জানুয়ারি থেকে ৫৫ শিশুর মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। যদিও সরকারি ভাবে সংখ্যা অনেক কম। রাজ্য স্বাস্থ্য় দফতর জাবিয়েছে, জানুয়ারি মাস থেকে রাজ্যে ১৯ শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
রাজ্যে লাগাতার শিশুমৃত্যু ঘটেই চলেছে। শুক্রবার সন্ধে পর্যন্ত বিসি রায় শিশু হাসপাতালে মৃত্যু হয় চার শিশুর। এই পরিস্থিতিতে, উদ্বেগ বাড়িয়েছে ICMR-এর রিপোর্ট। নাইসেড সূত্রে খবর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি মাসের সমীক্ষায় দেখা গেছে অ্য়াডিনো ভাইরাসে আক্রান্তের নিরিখে প্রথমস্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।
অ্যাডিনো আক্রান্তের নিরিখে বাংলা শীর্ষে
জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি মাসের সমীক্ষায় দেখা গেছে অ্য়াডিনো ভাইরাসে আক্রান্তের নিরিখে প্রথমস্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এখানে পজিটিভিটি রেট ৩৮ শতাংশ। দ্বিতীয়স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু, যেখানে পজিটিভিটি রেট ১৯ শতাংশ। তৃতীয়স্থানে থাকা কেরলে অ্যাডিনো ভাইরাসের পজিটিভিটি রেট ১২ শতাংশ। এই বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতর নাইসেডের কাছ থেকে রিপোর্ট চাইবে, বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য়সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম।