(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Kolkata Coronavirus Updates : বাড়ছে আতঙ্ক, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে সংক্রমিত আরও দুই ইন্টার্ন
Kolkata Medical College : দিনকয়েক আগে বিসি রায় হস্টেলে যে ইন্টার্ন করোনা আক্রান্ত হন, তাঁর ঘরের উল্টোদিকের ঘরে থাকতেন করোনা আক্রান্ত এই দুই ইন্টার্ন।
ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা : কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সংক্রমিত আরও দুই ইন্টার্ন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দিনকয়েক আগে বিসি রায় হস্টেলে যে ইন্টার্ন করোনা আক্রান্ত হন, তাঁর ঘরের উল্টোদিকের ঘরে থাকতেন করোনা আক্রান্ত এই দুই ইন্টার্ন। ভর্তি রয়েছেন মেডিক্যাল কলেজের সুপার স্পেশালিটি ব্লকে।
মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, বিসি রায় হস্টেলের আরও চার ইন্টার্নের জ্বর হয়েছে। তাঁরাও করোনা আক্রান্ত কিনা, পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের গাড়িচালক ও কলেজের নিউ হস্টেলের ক্যান্টিনের চারজন কর্মীও কোভিড আক্রান্ত। এই নিয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে ৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন :
খারাপ হচ্ছে মহানগরের বাতাস, বায়ুদূষণ বাড়ছে কলকাতা ও হাওড়ায়
এই পরিস্থিতিতে, কোভিড চিকিৎসায় নতুন প্রোটোকল প্রকাশ করল স্বাস্থ্য দফতর । এছাড়াও নেওয়া হচ্ছে বেশ কিছু পদক্ষেপ।
বুধবার এক হাজার পার। বৃহস্পতিবার দু’হাজার পার। শুক্রবার সাড়ে তিন হাজারের চৌকাঠে। পশ্চিমবঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। তিনদিনে দৈনিক সংক্রমণ বেড়েছে তিনগুণ! স্বাস্থ্য দফতরের শুক্রবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৪৫১ জন। বৃহস্পতিবার এই সংখ্যাটা ছিল ২ হাজার ১২৮। বুধবার ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ হাজার ৮৯ জন। সপ্তাহের শুরুতে সোমবার এই সংখ্যাটা ছিল মাত্র ৪৩৯।
বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবারের দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ১ হাজার ৩২৩ জন বেশি। বৃহস্পতিবারই স্বাস্থ্য দফতর আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যে তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে করোনা সংক্রমণ যে গতিতে ছড়াচ্ছে, তা দেখে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা। রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৩ হাজার ৪৫১ জনের মধ্যে কলকাতাতেই আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় দু’হাজার। কলকাতায় সংক্রমণের গ্রাফটাও যেভাবে ওপরের দিকে উঠছে, তাতে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা। বৃহস্পতিবার কলকাতায় ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ হাজার ৯০ জন। বুধবার এই সংখ্যাটা ছিল ৫৪০। অর্থাৎ প্রত্যেকদিন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হচ্ছে।