(Source: Matrize)
Online Fraud: ঋণের টোপে ‘প্রতারণা’, কলসেন্টার থেকে গ্রেফতার ২৬! উদ্ধার লক্ষ লক্ষ টাকা
দিনের পর দিন এভাবেই বিভিন্ন জনকে ফোনে টোপ দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, কল সেন্টারের আড়ালে প্রতারণাচক্রের পর্দাফাঁস করল পুলিশ। শেক্সপিয়র সরণি থানা এলাকা থেকে ২৬ জন পাকড়াও
আবীর দত্ত, কলকাতা: শেক্সপিয়র সরণি থানা এলাকার রডন স্ট্রিটে ভুয়ো কল সেন্টারের পর্দাফাঁস। লালবাজারের গোয়েন্দা শাখার হাতে গ্রেফতার ২৬ জন। উদ্ধার কয়েক লক্ষ টাকা, ৭০টি মোবাইল ফোন ও ৪টি ল্যাপটপ। সামান্য কিছু প্রসেসিং ফি দিলেই মোটা অঙ্কের ঋণ পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
দিনের পর দিন এভাবেই বিভিন্ন জনকে ফোনে টোপ দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, কল সেন্টারের আড়ালে প্রতারণাচক্রের পর্দাফাঁস করল পুলিশ। শেক্সপিয়র সরণি থানা এলাকা থেকে ২৬ জনকে পাকড়াও করল লালবাজারের গোয়েন্দা শাখা। পুলিশ সূত্রে খবর, সহজে লোন পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফাঁদে ফেলা হত বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিদের।
লোনের প্রসেসিং ফি বাবদ ঋণের অঙ্কের ৫-৭ শতাংশ অগ্রিম নেওয়া হত। এভাবেই প্রতারণার জাল বিছিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, বুধবার
রডন স্ট্রিটের ওই কল সেন্টারে অভিযান চালান লালবাজারের গোয়েন্দারা। বাজেয়াপ্ত করা হয় ৪টি ল্যাপটপ, ৭০টি মোবাইল ফোন ও ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা-সহ বেশ কিছু সরঞ্জাম। ভুয়ো কল সেন্টারের আড়ালে কি আছে বড়সড় প্রতারণা চক্র? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে লালবাজারের গোয়েন্দা শাখা।
সম্প্রতি নামী কোম্পানির ডিস্ট্রিবিউটরশিপ পাইয়ে দেওয়ার নামে অনলাইনে প্রতারণার (Online Fraud) অভিযোগ ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) ঘোলার এক ব্যবসায়ীর থেকে ধাপে ধাপে তিন লক্ষ ৭৪ হাজার টাকার বেশি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ দায়ের থানায়।
অনলাইনে প্রতারণার নানান ফন্দি। আর সেই ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন মানুষ। এবার প্রতারণার অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার ঘোলায়।অভিযোগ নামী কোম্পানির ডিস্ট্রিবিউটরশিপ পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা করা হয়েছে এক ব্যবসায়ীকে। ধাপে ধাপে ৩ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকার বেশি হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অনলাইনে লিঙ্ক পাঠিয়ে ফাঁদে ফেলা হয় ব্যবসায়ীকে।
ঘোলার প্রসন্ন চ্যাটার্জি রোডের বাসিন্দা সোমনাথ সরকার। তাঁর কীটনাশক সরবরাহের ব্যবসা রয়েছে। ব্যবসায়ীর দাবি, কয়েকমাস আগে ইন্টারনেটে একটি নামী কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন ওই ব্যবসায়ী। অভিযোগ, প্রতারকরা ওই নামী কোম্পানির নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে ফাঁদ পেতেছিল। ব্যবসায়ী সেই ফাঁদে পা দেওয়ার পরই অনলাইনে লিঙ্ক পাঠানো হয়। অভিযোগ, এরপর ধাপে ধাপে হাতিয়ে নেওয়া হয় ৩ লক্ষ ৭৪ হাজার ৯৯৯ টাকা।
গত ১৪ এপ্রিল ঘোলা থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন ব্যবসায়ী। তারপর তিনমাস কেটে গেলেও অভিযুক্ত প্রতারকরা কেউ গ্রেফতার হয়নি।