South Kolkata Illegal Cafeteria : ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে পদক্ষেপ, দক্ষিণ কলকাতায় সরেজমিনে হানা দিয়ে ক্যাফেটেরিয়া বন্ধের নির্দেশ
যারা ফুটপাথ দখল করে রেখেছে, তাদের ছাউনি বা ক্যাফেটেরিয়া সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। এখন দেখার, কতদিনে এই ফুটপাথ জবরদখলমুক্ত হয়।
অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : কলকাতার (Kolkata) ফুটপাথ দখলদারি মুক্ত করতে উদ্যোগী হল কলকাতা পুরসভা (KMC)। লর্ডসের মোড়ের কাছে বেআইনিভাবে ফুটপাথ দখল (Illegal Footpath Poaching) করে ছাউনি তৈরি করাই নয়, সাজিয়ে গুছিয়ে চলছে ক্যাফেটেরিয়া (Cafeteria)। সেখানে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলরও (Councilor)। সংশ্লিষ্ট দোকান, রেস্তোরাঁর মালিককে দ্রুত ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে বলা হয়েছে।
গাছগাছালি সবুজে ঘেরা ক্যাফেটরিয়া। এক ঝলকে দেখলেই টেবিলে গিয়ে চা বা কফি নিয়ে বসতে ইচ্ছে করবে। আসলে কিন্তু এটি ফুটপাথ! দখল করে নিয়ে দিব্যি কমরমিয়ে চলছে ক্যাফেটরিয়া। ঘটনাস্থল দক্ষিণ কলকাতার লর্ডসের মোড়। শুধু এই ক্যাফেটরিয়াই নয়, লেক গার্ডেন্সের বিভিন্ন দিকের ফুটপাথ জুড়ে বিভিন্ন দোকান। এই প্রেক্ষিতে দোকান, রেস্তোরাঁর জবরদখল থেকে ফুটপাথকে মুক্ত করতে উদ্যোগী কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ। বৃহস্পতিবার এলাকা ঘুরে দেখেন দেবাশিস কুমার। রাসবিহারীর বিধায়কের সঙ্গে ছিলেন ৯২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মৌসুমী দাস।
কেন ফুটপাথের ওপর ছাউনি তৈরি করা হয়েছে, কেনই বা তৈরি হয়েছে ক্যাফেটেরিয়া, তা জানতে চান বিধায়ক। যারা ফুটপাথ দখল করে রেখেছে, তাদের ছাউনি বা ক্যাফেটেরিয়া সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। এখন দেখার, কতদিনে এই ফুটপাথ জবরদখলমুক্ত হয়।
প্রসঙ্গত, কলকাতা পুরসভায় নব নির্বাচিত পদাধিকারীকরা নাগরিক স্বার্থ উন্নয়নে একাধিক পদক্ষেপ করছেন। প্রত্যেক সপ্তাহে তিলোত্তমার নাগরিকদের যাবতীয় অভাব-অভিযোগ সরাসরি 'টক টু মেয়র' অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ফোনের অপর প্রান্তে থেকে শুনছেন মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন- এবার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে পুরপরিষেবা? করোনাকালে নয়া সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরসভার
এদিকে, সম্পত্তি কর জমা দেওয়া হোক বা ট্রেড লাইসেন্স ফি, করোনাকালে এই ধরনের কাজ যাতে আরও বেশি করে অনলাইনে সেরে ফেলা যায়, তার জন্য এই ধরনের পরিষেবাকে পোর্টাল ভিত্তিক অনলাইন পেমেন্টের পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপের প্ল্যাটফর্মে নিয়ে এসেছে কলকাতা কর্পোরেশন।