Cyclone Asani: ঘূর্ণিঝড় 'অশনি' মোকাবিলায় পারদর্শী কর্মীদের ছুটি বাতিল কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের
Cyclone Asani Update: যে সমস্ত কর্মীরা আমফানের মতো দূর্বিসহ ঘূর্ণিঝড় সামলেছেন তাঁদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তাঁদের কাল পরিস্থিতি সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পরিষেবা সচল রাখতে এই সিদ্ধান্ত।
ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় 'অশনি'র (Asani) আশঙ্কায় ছুটি বাতিল করা হল কলকাতা বিমানবন্দরের (Kolkata International Airport) কর্মীদের। ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত বিষয়ে পারদর্শীদের ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (authority)। কলকাতা বিমানবন্দরের সমস্ত পাম্পিং স্টেশনে হাই অ্যালার্ট (High Alert) জারি। জল যাতে না জমে তার জন্য এই সিদ্ধান্ত। কাল উড়বে না কোনও ছোট বিমান। নিয়মিত আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে পরামর্শ করে পরিষেবা সচল রাখার চেষ্টায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের একাধিক সিদ্ধান্ত
কলকাতা বিমানবন্দরের যে সমস্ত কর্মীরা আমফানের (Amphan) মতো ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতি সামলেছেন তাঁদের ছুটি বাতিল করে আগামীকাল তলব করা হয়েছে কলকাতা বিমানবন্দরে। পরিষেবা যাতে সচল থাকে সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত।
কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে খবর, আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে তাঁরা নিয়মিত বৈঠক করছেন এবং তাঁদেরই পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করছেন। আবহাওয়া দফতরের পরামর্শ অনুযায়ী, ঝড়ের প্রভাব খুব না পড়লেও প্রচুর বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে রানওয়েতে জল জমার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া জল জমার আশঙ্কা রয়েছে অপারেশনল এরিয়াতেও। সেই কারণে বিমানবন্দরের সবকটি পাম্পিং স্টেশনকে হাই অ্যালার্টে রাখা রয়েছে। যাতে কোনওভাবেই কালকে অপারেশনল এরিয়াতে জল না জমতে পারে।
আরও পড়ুন: Kolkata: শহরের বুকে জমছে প্লাস্টিক, কিছুক্ষণের বৃষ্টিতেই মাসুল দিল জলমগ্ন শহর
যে সমস্ত কর্মীরা আমফানের মতো দূর্বিসহ ঘূর্ণিঝড় সামলেছেন তাঁদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তাঁদের কাল পরিস্থিতি সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামীকাল পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কোনও ছোট বিমান উড়বে না।
জলমগ্ন শহর
সোমবার সকাল থেকেই পাম্পিং স্টেশনগুলির ওপর কড়া নজর রেখেছে পুরসভা। বোট ক্যানেল পরিষ্কার করছে সেচ দফতর। যাতে, শহরে জমা বৃষ্টির জল দ্রুত বেরিয়ে যেতে পারে। বালিগঞ্জ পাম্পিং স্টেশন থেকে এখানে জল এসে পড়ে। তা দ্রুত বেরিয়ে যয়। বালিগঞ্জ পাম্পিং স্টেশন থেকে জল এসে পড়ে তিলজলার এই খালে। সেখানে সেচ দফতরের তরফে দ্রুত খাল পরিষ্কারের কাজ চলছে। খাল থেকে চলছে পলি তোলার কাজ। যাতে, খালের গভীরতা বাড়ে, দ্রুত জল বেরিয়ে যেতে পারে।