Kasba Student Rape Case: 'আইনজীবী আইনের ঊর্ধ্বে নয়, সবার শাস্তি হওয়া উচিত,' কসবাকাণ্ডে মন্তব্য কল্যাণের
Kolkata News: সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে গণধর্ষণে অভিযুক্ত, ধৃত মনোজিৎ মিশ্রের সঙ্গে একাধিক তৃণমূল নেতার ছবি সামনে এসেছে।

কলকাতা: আর জি কর মেডিক্যাল কাণ্ডের পর এবার ল' কলেজে গণধর্ষণের অভিযোগ। সাউথ ক্যালকাটা ল' কলেজে এই অভিযোগ ঘিরে তোলপাড়। গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত-সহ ৩ । মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র প্রাক্তন TMCP নেতা। সবার শাস্তি হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে গণধর্ষণে অভিযুক্ত, ধৃত মনোজিৎ মিশ্রের সঙ্গে একাধিক তৃণমূল নেতার ছবি সামনে এসেছে। মন্ত্রী থেকে তৃণমূল বিধায়ক, ছাত্র সংগঠনের রাজ্য সভাপতি--কে নেই তালিকায়। এই আবহে তৃণমূল সাংসদ দোষীদের শাস্তি হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করলেন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে সারা ভারতবর্ষে প্রশ্ন উঠছে। সবার শাস্তি হওয়া উচিত। আইনজীবী আইনের ঊর্ধ্বে নয়। সেও জেলে যাবে। তাঁর জেলে যাওয়া উচিত।''
এদিকে নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে, শাসকদলের প্রশ্রয়েই কি বাড়বাড়ন্ত হয়েছিল মনোজিতের? কারণ সাউথ ক্যালকাটা ল'কলেজের ছাত্র হিসেবে প্রথমে TMCP নেতা আর তারপর কলেজের পরিচালন সমিতির সুপারিশে, এই কলেজেই অস্থায়ী কর্মী হিসেবে চাকরি পেয়ে যান মনোজিৎ মিশ্র। আর এই কলেজের পরিচালন সমিতির মাথায় রয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক অশোক দেব। তাহলে কি গণধর্ষণে অভিযুক্ত এবং ধৃত এই মনোজিতের মাথাতেও রয়েছে অদৃশ্য কোনও ক্ষমতাশালী হাত? যার বলে বলীয়ান হয়ে প্রভাবশালী হয়ে উঠেছিল মনোজিতও? যার জেরে চাকরিও পেয়ে যায় সে? সূত্রের খবর, সাউথ ক্যালকাটা ল'কলেজে অস্থায়ী কর্মীর পাশাপাশি আলিপুর কোর্টেও আইনজীবী হিসেবে প্র্যাক্টিস করে গণধর্ষণে অভিযুক্ত প্রাক্তন TMCP নেতা ও বর্তমান তৃণমূল কর্মী মনোজিৎ মিশ্র। গণধর্ষণের অভিযোগে ধৃত মূল অভিযুক্ত প্রাক্তন TMCP নেতা মনোজিৎ মিশ্র কতটা প্রভাবশালী, সেটা বোঝা যায় কলেজ ক্যাম্পাসে পা রাখলেই। কলেজের দেওয়ালে বড় বড় করে খোদাই করে লেখা- 'মনোজিৎ দাদা ইজ ইন আওয়ার হার্টস।'
কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল নয়না চট্টোপাধ্যায় বলেন, " আমি দেখুন এসব যেদিন এই অ্যাপোয়েন্টমেন্টগুলো হয় সেদিন জিবি-র (কলেজ পরিচালন সমিতি) মাধ্য়মে হয়। উনি (মনোজিৎ মিশ্র) একটা প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে তার ল'-এর ডিগ্রি ছিল, সে দিয়েছে, তার সঙ্গে যাদের দু'জনের হয়েছে> ও অফিসের কাজ করতে, মানে অফিসের মানে খাতা-পত্র এইসব দেখতে চাইত। জিবির নির্দেশে আমার রেজোলিউশন আছে।''






















