KMC: চার বছরে সংস্কার মাত্র ৬৮ টির, জীর্ণ বাড়ি নিয়ে ফের আইনে সংশোধনের ভাবনা পুরসভার
২০১৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর।সেদিন পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটে তিনতলা বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে পড়ে ২জনের মৃত্যু হয়।সেই ঘটনার পরই জরাজীর্ণ বাড়ি সংস্কারে আইন সংশোধন করে কলকাতা পুরসভা।
কলকাতা: কলকাতার জরাজীর্ণ বাড়িগুলি (dilapidated buildings) সংস্কারে ২০১৭ সালে তৈরি হয়েছে সংশোধিত আইন (Amended Law)। কিন্তু ৪ বছর পেরিয়ে গেলেও, এখনও সংস্কার (Renovation) হয়নি বহু বিপজ্জনক বাড়ির। এই অবস্থায় ফের আইন সংশোধন করতে চাইছে কলকাতা পুরসভা।
প্রতিদিনই বহরে বাড়ছে তিলোত্তমা। তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন ইমারত। তবে এরইমধ্যে চিন্তা বাড়াচ্ছে কলকাতার বুকে দাঁড়িয়ে থাকা এমন সব বিপজ্জনক বাড়ি। অথচ জরাজীর্ণ এই বাড়িগুলি সংস্কারের জন্য ২০১৭ সালেই আইন সংশোধন করেছিল পুরসভা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, আইনই সার.....সংস্কার হয়েছে নামমাত্র জরাজীর্ণ বাড়ির।
২০১৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর।সেদিন পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটে তিনতলা বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে পড়ে ২জনের মৃত্যু হয়।সেই ঘটনার পরই জরাজীর্ণ বাড়ি সংস্কারে আইন সংশোধন করে কলকাতা পুরসভা।তাতে বিপজ্জনক বাড়িটি ভেঙে মালিককে নতুন বাড়ি তৈরি বা সংস্কারের সুযোগ দেওয়া হয়। তবে মালিক যদি তাতে আগ্রহী না হন, সেক্ষেত্রে সুযোগ দেওয়া হবে ভাড়াটেদের। ভাড়াটেরাও যদি আগ্রহ প্রকাশ না করে, তাহলে তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে কাজ করানো যেতে পারে।
পুরসভা সূত্রে খবর,কলকাতায় ৩ হাজার ৭০০টি বিপজ্জনক বাড়ি রয়েছে।যার মধ্যে ৪ বছরে সংস্কার হয়েছে মাত্র ৬৮টি বাড়ির।২৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ইলোরা সাহা বলেছেন, ওয়ার্ডে প্রচুর বিপজ্জনক বাড়ি, এটা বড় সমস্যা, এখানে আমরা কর্মীদের যেতে বলতে পারি না, হাত পা বাঁধা।
বিষয়টি নিয়ে গত ২৮ জানুয়ারি পুরসভার মাসিক অধিবেশনেও আলোচনা হয়। এরপরই আইন সংশোধনের ভাবনা শুরু হয়।কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, এটা নিয়ে আমাদের আইনজ্ঞদের সঙ্গে এবং কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের আইন দফতরের সঙ্গে কথা হচ্ছে, এটা নিয়ে আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে ভাবনা চিন্তা করছি।
এ ব্যাপারে পুরসভাকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে হাউজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক। তিনি বলেছেন, আলোচনা ছাড়া আবার সংশোধনী আনলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে হবে।