(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Kolkata Accident: সামনের গাড়িকে ধাক্কা মেরে উল্টে গেল গড়িয়ামুখী SUV, ফের মা উড়ালপুলে দুর্ঘটনা
Maa Flyover Accident: রেকার দিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিকে সরিয়ে নেওয়া হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। বেপরোয়া গতির কারণেই দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।
সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা: রবিবার ভোরে ফের মা উড়ালপুলে (Maa Flyover Accident) দুর্ঘটনা। পৌনে ৫টা নাগাদ দুর্ঘটনা ঘটে। গড়িয়ামুখী SUV সামনের একটি গাড়িকে ধাক্কা মেরে উল্টে যায়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির চালক পলাতক।
ফের মা উড়ালপুলে দুর্ঘটনা: রবিবাসরীয় সকালে ফের দুর্ঘটনা শহরে। এদিন ভোরে গড়িয়ার দিকে যাচ্ছিল SUV। সামনের একটি গাড়িকে সজোরে ধাক্কা মারে ওই গাড়িতে। গতি তীব্রতায় ধাক্কা মেরে উল্টে যায় গাড়িটি। ওই গাড়িতে একজন যাত্রী ছিলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ। দুর্ঘটনার জেরে গড়িয়াগামী মা উড়ালপুলে কিছুক্ষণের জন্য যানজট তৈরি হয়। পরে রেকার দিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিকে সরিয়ে নেওয়া হয়। ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। বেপরোয়া গতির কারণেই দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।
চলতি মাসেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে বেহালায়। মাটিবোঝাই লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় বড়িশা হাইস্কুলের প্রাথমিকের পড়ুয়া সৌরনীল সরকারের। বাবার সঙ্গে রাস্তা পেরোনোর সময় বেপোরোয়া গতিতে আসা লরিটি পড়ুয়াকে ধাক্কা মেরেছিল। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। গুরুতর জখম অবস্থায় এসএসকেএমের ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছিল বাবা সরোজকুমার সরকার। পরে সাঁতরাগাছি থেকে গ্রেফতার করা হয় ঘাতক গাড়ির চালক মনোজ মণ্ডলকে।
আর এই শিশু পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে যায়। মৃতদেহ উদ্ধারে এলে পুলিশের গাড়ি ও একের পর এক বাইকে অগ্নিসংযোগ করে উত্তেজিত জনতা। একাধিক সরকারি বাসে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। মৃতদেহ আটকে রেখে তুমুল বিক্ষোভও হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী, র্যাফ নামানো হয়েছিল। লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা পুলিশের। স্থানীয় বাসিন্দার পাশাপাশি আক্রান্ত হল পুলিশও। কষুব্ধ জনতার অভিযোগ, দুর্ঘটনার পরই ঘাতক লরিটিকে আটক করার চেষ্টা করলেও পুলিশ সেটিকে ছেড়ে দেয়। তাঁদের দাবি, পুলিশি উদাসীনতার কারণেই এই দুর্ঘটনা। পুলিশ তোলাবাজিতে ব্যস্ত, বলে অভিযোগ ক্ষুব্ধ অভিভাবক থেকে বাসিন্দাদের। পুলিশ ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলে বড়িশা হাইস্কুলে আশ্রয় নিয়েছিলেন বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। সেখান থেকে তাদের পুলিশ বের করার চেষ্টা করলে, নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। ২ ঘণ্টার বেশি সময় পর শিশুর মৃত দেহ উদ্ধার করতে পেরেছিল পুলিশ। সকাল সাড়ে ৬টা থেকে অবরুদ্ধ ডায়মন্ড হারবার রোড চালু হয় প্রায় ৩ ঘণ্টা পর।
আরও পড়ুন: Jadavpur University: আবাসিক নন তাও কেন হস্টেলে ছিলেন ধৃত জয়দীপ ঘোষ? জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য